কলকাতার বিশেষ আদালত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ৩রা আগস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। এছাড়াও, প্রতি ৪৮ ঘন্টায় একটি মেডিকেল চেকআপের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি আদালতকে বলে যে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অর্পিতা আর্থিক কারসাজি করে কমপক্ষে ১২টি শেল কোম্পানি চালাচ্ছিলেন।
ইডি এও জানিয়েছে ভুবনেশ্বর যেতে রাজি ছিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে 'আমি যাব না'। অনেক কষ্টে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইডি আদালতে এইমসের মেডিকেল রিপোর্ট পেশ করে, যেখানে দেখা যায় যে তিনি পুরো সুস্থ। ইডি জানিয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টে কোনও ভুল নেই। নিজের অবস্থানের সুযোগ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি।
ইডি আরও বলেছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার গ্রেপ্তারি মেমোতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। তিনি ইডির কাগজপত্রে সই করে না কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন।
ইডি ২০১২সালের পার্থ-অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি খুঁজে পেয়েছে। এই সম্পত্তিটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিনেছিলেন। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা স্বীকার করেছেন যে উদ্ধার করা অর্থ পার্থ চট্টোপাধ্যয়ের। উদ্ধার হওয়া অর্থ অর্পিতার সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল নগদ দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ির বাইরে কোথাও রাখার।
আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, হাইকোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের কোনও নির্দেশ দেয়নি। ইডি তলব ছাড়াই বাড়িতে গিয়ে ৩০ ঘন্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২২শে জুলাই তাকে হেফাজতে নেয় ইডি।
No comments:
Post a Comment