শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে পতিত পঞ্চমী অর্থাৎ নাগপঞ্চমীতে তক্ষক নাগের পূজো করা হয়।
আটটি প্রধান সর্পের মধ্যে তক্ষককে সমগ্র সর্প জাতির অধিপতি। শ্রাবন মাসে তক্ষক তীর্থে পুজো, রুদ্রাভিষেক করলে কাল সর্প দোষ দূর হয়। বাবা তক্ষশ্বরনাথের পূজোর ধর্মীয় গুরুত্ব কী জেনে নেওয়া যাক।
প্রয়াগে যমুনার তীরে পবিত্র তক্ষক মন্দিরটি অবস্থিত, লোকেরা এই পবিত্র ধামটিকে বড় শিবালা নামে চেনে।
তক্ষক তীর্থ সম্পর্কিত গল্প শ্রী প্রয়াগ মাহাত্ম্য শতাধ্যায়ীর ৯২ অধ্যায়ে বর্ণিত। একবার অশ্বিনীকুমাররা কিষ্কিন্ধা পর্বতে অনেক কষ্টের পর পারদের রসরাজ বানিয়ে সেখানে গুহায় রেখে চলে যান। এরপর অশ্বিনী কুমার আবার রসরাজ নিতে গেলে দেখতে পান পাত্রটি শুকনো।
এর পর অশ্বিনী কুমার স্বর্গে পৌঁছে দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে এই ঘটনা জানালেন। তখন ইন্দ্র তাদেরকে চোর খুঁজে বের করতে বলেন যাতে তারা তাকে শাস্তি দিতে পারে। তক্ষক নাগ এই পুরো ঘটনা জানতে পেরে প্রয়াগরাজের যমুনা তীরে বসবাস শুরু করেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তক্ষক নাগকে পাওয়া না গেলে দেবগুরু বৃহস্পতি জানিয়ে দেন তক্ষক নাগ তীর্থভূমির রাজা প্রয়াগ রাজে আশ্রয় নিয়েছেন এবং তিনি সর্বদা সেখানে ভগবান মাধবের ধ্যান করেন। তাকে হত্যা করা অসম্ভব।
সেই থেকে আজ অবধি তক্ষক নাগ এই পবিত্র মন্দিরে অবস্থান করছেন। এমন বলা হয় যে শ্রীকৃষ্ণ মথুরা থেকে চলে এলে তক্ষক নাগ প্রয়াগরাজের যমুনার তীরে অবস্থিত তক্ষকেশ্বর কুণ্ডে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, তক্ষক তীর্থ সমস্ত তীর্থযাত্রার পুণ্য ফল প্রদানকারী এবং সমস্ত প্রকারের দোষ দূর করে। পদ্মপুরাণ অনুসারে প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তক্ষক তীর্থে ভগবান শিবের পূজো-অর্চনা করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
পবিত্র তিথিতে ভগবান শিবের পূজো , রুদ্রাভিষেক ইত্যাদি করলে সুখ, ধন ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়।
No comments:
Post a Comment