উত্তরপ্রদেশের বাগপতের কাছে পরশুরামেশ্বর পুর মহাদেবের একটি মন্দির রয়েছে। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে লক্ষাধিক কানওয়ারিয়া এখানে এসে মহাদেবের জলাভিষেক করেন।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিতে এখানে চার দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। একে কানওয়ার মেলা বলা হয়। এই সময় লক্ষাধিক কানওয়ারিয়ারা হরিদ্বার থেকে খালি পায়ে হেঁটে গঙ্গা জল এনে মহাদেবের জলাভিষেক করেন। চলুন জেনে নিই পুরমহাদেব মন্দিরের মহিমা।
মহাদেবের এই মন্দিরটি বাগপত জেলা ২৫ কিলোমিটার দূরে পুরা গ্রামে হিন্দন নদীর তীরে রয়েছে। ঋষি জমদগ্নি এই স্থানে স্ত্রী রেণুকার সঙ্গে থাকতেন। এখানে বাবা জমদগ্নির আদেশে পরশুরাম তার মা রেণুকার শিরশ্ছেদ করেছিলেন।
এরপর অনুতপ্ত হয়ে তিনি এই স্থানে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন এবং কঠোর তপস্যা করেন। সন্তুষ্ট হয়ে শিব আবির্ভূত হয়ে তাঁর মাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন।
এছাড়াও, ভগবান শিব পরশুরামকে একটি কুঠার দিয়েছিলেন, যা দিয়ে তিনি ২১ বার ক্ষত্রিয়দের বধ করেছিলেন। পুর নামক স্থানে এবং পরশুরাম কর্তৃক এই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠার কারণে এই মন্দিরটি পরশুরামেশ্বর পুর মহাদেব মন্দির নামে পরিচিত।
কালক্রমে সেই স্থানটি ধ্বংসস্তূপে এবং শিবলিঙ্গও মাটিতে চাপা পড়ে যায়। একবার ল্যান্ডোরার রাণী হাঁটতে বের হলে তার হাতিটি সেই জায়গায় থামে। হাতিটি এগোতে রাজি নাহলে রানী খুবই আশ্চর্য হয়ে, জায়গাটি খননের নির্দেশ দেন। খনন করার সময় সেখান থেকে এই শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়। এর পরে, রাণী সেখানে একটি বিশাল মন্দির তৈরি করেন।
আজও এখানে চার দিনব্যাপী কানওয়ার মেলার আয়োজন করা হয়। এই বছরের কানওয়ার মেলা সোমবার, ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এবং ২৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এই মন্দিরে যা চাওয়া হয় তাই পূর্ত হয়।
No comments:
Post a Comment