অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

দুধের দ্রব্য ভারতে জনপ্রিয়। এর মধ্যে ঘি, দই, পনিরের মতো খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। ঘি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই ভারতে দৈনন্দিন জীবনে ঘি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অসুস্থতার সময় ঘি খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। যারা ওজন বৃদ্ধিতে ভুগছেন তারা ঘি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। ঘি সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত থাকে এবং অনেক রোগের ঝুঁকিও কমে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে ঘি খাওয়া খুবই কার্যকর। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। কিন্তু আপনি জানেন যে ঘি খাওয়া সব মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যা ঘি খেলে আরও বাড়তে পারে। আসুন জেনে নিই ঘি খেলে যে চারটি রোগ বাড়তে পারে।

ঘি কিছু রোগেও সমস্যা তৈরি করতে পারে। খুব বেশি ঘি খেলে বদহজম ও ডায়রিয়া হতে পারে। ঘি হজম করা সহজ কাজ নয়। যাদের হজমশক্তি খারাপ তাদের ঘি খাওয়া উচিত নয়। বদহজম, গ্যাস, জ্বালাপোড়ার অভিযোগ থাকলে ঘি এড়িয়ে চলতে হবে।

ভাইরাল জ্বর হলে ঘি এড়িয়ে চলুন: মৌসুমি জ্বর বা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘি এড়িয়ে চলা উচিত। ঘি খেলে কফ হয়। এতে সর্দি-কাশি বাড়তে পারে। অতিরিক্ত ঘি সেবনে মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি ও শ্বাসতন্ত্রে বাধা হতে পারে। বর্ষাকালে ভাইরাল জ্বর বেশি হয়, তাই ঘি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

লিভারের সমস্যা থাকলে ঘি এড়িয়ে চলতে হবে: লিভারের সমস্যা থাকলে ঘি এড়িয়ে চলুন। লিভারে কোনো ধরনের সমস্যা হলে ঘি ঠিকমতো হজম হয় না। যাদের লিভার সংক্রান্ত কোনো সমস্যা আছে তাদের ঘি খাওয়া উচিত নয়।

গর্ভবতী মহিলাদের ঘি এড়ানো উচিত: গর্ভবতী মহিলাদের ঘি এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পরিপাকতন্ত্র প্রায়ই ভালো থাকে না। তারা বদহজম, গ্যাস এবং ফোলা সমস্যায় ভোগেন। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ঘি খাওয়া তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।