প্রত্যেক দেবতার একটি বাহন আছে। এই বাহনের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। পশু-পাখি রক্ষার জন্য এগুলোকে ঈশ্বরের বাহন হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। যাতে তাদের প্রতি কোনো অত্যাচার না হয়। শাস্ত্রে শনির মোট ৯টি বাহনের কথা বলা হয়েছে। আসুন জেনে নেই শনির কোন বাহন শুভ আর কোনটি অশুভ?
ঘোড়া:
ঘোড়াকে শক্তির প্রতীক মনে করা হয়। শনিদেব যখন এতে অশ্বারোহণ করেন, তখন তিনি শত্রুকে জয় করতে পারেন।এই সময়ের মধ্যে ব্যক্তি শক্তিতে পূর্ণ থাকে।
শিয়াল:
শনিদেব যখন শেয়ালে চড়ে থাকেন, এই সময়ে সাবধান হওয়া উচিৎ। অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
রাজহাঁস:
শনির সবচেয়ে শুভ বাহন রাজহাঁস বলে মনে করা হয়। শনিদেব যখন রাজহাঁসে চড়ে যান, তখন এই সময়ে অর্থনীতিতে উন্নতি হয়। এটি ব্যক্তির জন্য সম্মানের প্রতীক হিসাবেও বিবেচিত হয়।
কাক:
কাককে শনিদেবের অশুভ বাহন বলে মনে করা হয়। এই সময়কালে, পরিবারে ক্লেশ বাড়ে। এই সময়ে ধৈর্য ধরুন, তাড়াহুড়ো করা সিদ্ধান্ত ক্ষতিকারক হতে পারে।সংযম নিয়ে কাজ করুন।
মহিষ:
শনিদেব যখন মহিষে চড়ে থাকেন, তখন বুদ্ধিমত্তা ও চতুরতার সঙ্গে কাজ করা উচিৎ। শনিদেবের বাহন মহিষ শুভ ও অশুভ উভয়ই বলে বিবেচিত হয়। এই সময়ের মধ্যে মিশ্র ফলাফল পাওয়া যায়।
গাধা:
গাধাকে শনিদেবের অশুভ বাহন মনে করা হয়। এ সময় অনেক সংগ্রাম করতে হয়। অনেক চেষ্টার পর সফলতা আসে।
হাতি:
শনিদেবের হাতিতে চড়া শুভ বলে মনে করা হয় না। এটি প্রত্যাশার বেশী ফলাফল দেয়। এই সময়ের মধ্যে সাহসী হোন।
সিংহ:
যদি ন্যাস দেবতা শনি সিংহের সওয়ার হন তবে এটি শত্রুকে জয় করতে সহায়তা করে। এই বাহনটিকে শুভ বলে মনে করা হয়।
ময়ূর:
শনির বাহন ময়ূর হলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এটি জীবনে উদ্দীপনার সূচক হিসাবে বিবেচিত হয়।যখন শনিদেব এতে অশ্বারোহণ করেন, সৌভাগ্য আসে তখন।
No comments:
Post a Comment