দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী স্মরণ করতে, দিল্লি সরকার আজ শহর জুড়ে ১১৫ ফুটের তেরঙ্গা উত্তোলন করেছে। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আনন্দ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দিল্লির ৫০০টি জায়গায় তেরঙ্গা উত্তোলন করা হবে। এখন দিল্লি শুধু দেশের নয় তেরঙ্গারও রাজধানী হয়ে উঠবে। তবে এই সময়, মুখ্যমন্ত্রী কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে দিল্লির যে কোনও ব্যক্তি যখন তার বাড়ি থেকে বের হবেন, তাকে প্রতি ২-৩ কিমি পর পর তেরঙ্গা দেখতে পাবে। তেরঙা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। তেরঙা দেখলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভগৎ সিং, বাবাসাহেব, গান্ধীজি, সর্দার প্যাটেলের আত্মত্যাগ। এই কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৫ আগস্টের মধ্যে আমরা দিল্লিতে ৫০০টি তেরঙা স্থাপন করব যাতে তেরঙা দেখলে আমরা ভারত মাকে স্মরণ করতে পারি।"
এর পাশাপাশি কেজরিওয়ার বলেছেন, "আমি প্রতিটি কমিটিকে নিজের এলাকায় কমপক্ষে ১০০০ জন তরুণ সৈন্য প্রস্তুত করার জন্য অনুরোধ করছি। সেই লোকদের ৫টি কাজ করতে হবে। কমিটি যদি এই কাজটি করতে সফল হয়, তবে আমি তাদের সাহায্য করব। আমরা একসাথে ডিনার করবো।"
এই পাঁচটি জিনিস হল :
প্রথমত- নিজের এলাকায় কেউ যেন না খেয়ে না ঘুমোয়।
দ্বিতীয়- প্রত্যেক শিশু যেন শিক্ষা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
তৃতীয়- কারো বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসায় যেন অভাব না হয়।
চতুর্থ- কোনো ব্যক্তি যেন গৃহহীন না হয়, যারাই গৃহহীন, তাদের রাত্রি আশ্রয়ে পাঠান।
পঞ্চম- নিজেদের এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেছেন যে, এই তেরঙার রক্ষণাবেক্ষণ এবং সম্মানের জন্য, আজ প্রতিটি তেরঙার জন্য একটি 'তেরঙ্গা সম্মান সমিতি' গঠন করা হয়েছে। একটি কমিটিতে ৫ জন সদস্য থাকবেন।
কাশ্মীর নিয়ে কথা বলার সময়, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে পুরো দেশ সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। আমরা চাই কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
No comments:
Post a Comment