পাকিস্তানে শুধু পেট্রোলের দামই ক্রমাগত বাড়ছে তাই নয়, সেই সঙ্গে ক্রমাগত বাড়ছে সেখানকার মানুষের রাগের পারদও। একই সপ্তাহে দুইবার তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় প্রতিবাদে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকারের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের জনগণ খুবই ক্ষুব্ধ। শুক্রবার, ৩রা জুন, লোকেরা করাচির সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের পুরনো সবজি বাজারের কাছে পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর চালায়।
বর্তমানে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি চরমে, যার ভিত্তিতে সরকার ক্রমাগত তেলের দাম বাড়াচ্ছে। একভাবে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক মন্দার মতো অবস্থা পাকিস্তানের।বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল পেট্রোলের দাম ৩০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করেন।
এর পরে পেট্রোল ২০৯ টাকা ৮৬ পয়সা এবং ডিজেল ২০৪ টাকা ১৫পয়সায় পৌঁছোয়। এ কারণে পাকিস্তানি জনগণ ক্ষুব্ধ।তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণও সমানভাবে বিপর্যস্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের সরকার দেশে উদ্ভূত এই অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকার তেহরিক-ই-ইনসাফকে দায়ী করছে।
পাকিস্তানের বর্তমান শাহবাজ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দাবি মেনে নিয়ে দেশে জ্বালানি ভর্তুকি বাতিল করেছে এবং পেট্রোলের দাম ৩০ টাকা বাড়িয়েছে। তবে তেলের দাম বাড়ার প্রভাব কমাতে তিনি প্রতি মাসে ২৮ বিলিয়ন টাকার ত্রাণ প্যাকেজ চালু করেছেন। তবে বরাবরের মতোই তিনি আবারও তেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য ইমরান সরকারকে দায়ী করেন।
রাশিয়া পাকিস্তানকে তেল দিতে অস্বীকৃতি করায় অর্থমন্ত্রী এর দায় চাপিয়েছেন বিগত সরকারের ওপর। অর্থমন্ত্রী বলেন, ইমরান সরকার রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে নি। এ কারণে এ অবস্থা হয়েছে। ইমরান খান রাশিয়া সফরে গেলেও কোথাও কোনো খবর নেই যে রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো তেল চুক্তি হয়েছে।
No comments:
Post a Comment