সারা বিশ্বে অনেক প্রজাতির কাছিম একটি সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বিলুপ্তির পথে, এই কাছিম বা কচ্ছপ। সেখানে একটি কচ্ছপও জন্ম নিয়েছে যা একেবারেই আলাদা এবং বিরল। গত মাসে সুইজারল্যান্ডের সার্ভিয়ান শহরে একটি অ্যালবিনো কচ্ছপের জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি চিড়িয়াখানায় প্রথমবারের মতো এটি জনসমক্ষে আসে এবং তার ছবি মুক্তি পায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কাছিম গ্যালাপাগোস প্রজাতির। এই প্রজাতির কচ্ছপ অনেক বড় হয়। সার্ভিয়ন শহরে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচাতে একটি কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। এই উদ্যোগের আওতায় গত মাসে দুটি কচ্ছপের জন্ম হয়েছে। দুজনের ছবিও মুক্তি পেয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হল দুটি কচ্ছপের একটির রং কালো এবং অন্য বিরল কচ্ছপের রঙ হালকা হলুদ। এর চোখ লাল। তবে সার্ভিয়ান শহরে জন্ম নেওয়া কচ্ছপটি পুরুষ না মহিলা, তার তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। জন্মের সময় তাদের ওজন ছিল ৫০ গ্রাম, তারা ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
এই দুটি কচ্ছপের মায়ের ওজন ১০০ কেজির বেশি। ১১ ফেব্রুয়ারি এটি পাঁচটি ডিম পাড়ে। যার মধ্যে বিরল অ্যালবিনো কচ্ছপটি ২০১২ সালের ১ মে এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় ২৮ মে। এই ডিমগুলো যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য এগুলোকে প্রায় আড়াই মাস ইনকিউবেটরে রাখা হয়।
জেনে নেওয়া যাক কেন একক মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে একটি কাছিম বিরল হল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কচ্ছপটি বিরল কারণ এটি জেনেটিক অবস্থার অ্যালবিনিজম অতিক্রম করেছে। তাই এই কচ্ছপকে অ্যালবিনো বলা হয়।
এমতাবস্থায় শরীরের ত্বক, চুল ও চোখে রঙ দেওয়ার কাজ করে মেলানিন পিগমেন্ট হয় খুব কম তৈরি হয় বা একেবারেই তৈরি হয় না। এ ছাড়া তাদের দেখা বা শোনার ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment