কাঁচা দুধে ভিটামিন এ, ডি, ই, প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও দুধ খুবই উপকারী। কাঁচা দুধে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে রয়েছে ল্যাকটোজ, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক। এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড।
এটি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি ত্বক সারাতে কাজ করে। এটি বার্ধক্যের প্রভাব কমায়। এটি মরা চামড়া দূর করে। আসুন জেনে নিই কী কী উপায়ে এটি ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন?
কাঁচা দুধ ফেসিয়াল টোনার:
ঘরে তৈরি টোনার হিসেবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করুন। এর জন্য আপনার লাগবে ১ কাপ কাঁচা দুধ এবং ২ থেকে ৩টি জাফরান সুতো। কাঁচা দুধে জাফরান আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে স্প্রে বোতলে রেখে মুখে স্প্রে করে এর পর একটি তুলোর বল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে মুখ।
কাঁচা দুধের ফেস প্যাক:
১ চা চামচ মুলতানি মাটি, ১ চা চামচ বেসন এবং ১ চা চামচ কাঁচা দুধ। এই সব উপাদান একসাথে মেখে মুখে ও ঘাড়ে লাগান। কিছুক্ষন রাখে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কাঁচা দুধ ফেসিয়াল স্ক্রাব:
এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, আধ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ ওটস। ওটস পিষে গুঁড়ো করে এতে কাঁচা দুধ ও মধু দিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কাঁচা দুধ ক্লিনজার:
ক্লিনজার হিসেবেও কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ এবং এক চিমটি হলুদ ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। সার্কুলার মোশনে ত্বক পরিষ্কার করে এর পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা:
এই দুধ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। এটি পিগমেন্টেশন, ব্রণ এবং কালো দাগ দূর করে। এর নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা কমে যায়। এটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।
No comments:
Post a Comment