জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থী বলা হয়। এই দিনে গণেশের পূজো করা হয়।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসে দুটি পক্ষ থাকে। একটি কৃষ্ণপক্ষ এবং অন্যটি শুক্লপক্ষ। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে সংকষ্টী চতুর্থী বলা হয়। অন্যদিকে, শুক্লপক্ষের চতুর্থীকে বলা হয় বিনায়ক চতুর্থী। এছাড়া জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থী বলা হয়।
এবারের একাদশ চতুর্থী পড়ছে ১৯ মে। এই দিনটি বৃহস্পতিবার। এই দিনে ভগবান গণেশের পূজো করা হয় আচার-অনুষ্ঠানের সাথে। এটি করলে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। ভগবান গণেশকে বিঘ্নহর্তাও বলা হয়। যিনি ভক্তদের সকল কষ্ট দূর করেন। একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থীতে ভগবান গণেশের আরাধনা করলে ধন ও জ্ঞান আসে। আসুন জেনে নিই একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থীর শুভ সময় ও পূজো পদ্ধতি।
একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থী তিথি:
এবারে একাদশ সংকষ্টী চতুর্থী তিথি শুরু হবে ১৮ মে বুধবার রাত ১১:৩৬ মিনিট থেকে। ১৯ মে বৃহস্পতিবার রাত ৮:২৩ মিনিটে শেষ হবে একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থী। এদিন উদয়া তিথির কারণে ১৯ মে উপবাস ও পূজো হবে।
একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থী পূজোর মুহুর্ত
দুপুর ২:১৮ টায় শুরু হবে। এর পরেই শুরু হবে শুভ যোগ। এই দুটি যোগই ভগবান গণেশের উপাসনার জন্য খুবই ভালো। এই দিন সকালে পূজো করা যেতে পারে।
চন্দ্রকে জল নিবেদন করে একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস ভঙ্গ হয়। একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থীর দিন চাঁদ উঠবে রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে। চাঁদের পূজো ছাড়া এ দিনের উপবাস ও পূজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।
পদ্ধতি:
এই দিনে গণেশের পূজো পদ্ধতিতে করা হয়। এই দিনে প্রভুকে লাড্ডু নিবেদন করুন। গণেশ চালিসা পাঠ করুন। এই দিনে পূজো করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। ভগবানকে দূর্বা নিবেদন করুন। ওম গণপতয়ে নমঃ মন্ত্র জপ করুন। এতে ভগবান গণেশ খুশি হবেন। আপনার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হবে।
একদন্ত সংকষ্টী চতুর্থীর তাৎপর্য:
এই দিনে নিয়ম করে গণেশের পুজো করলে জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়। জীবন সুখী ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। ভগবানের আশীর্বাদে সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। এই দিনে উপবাস করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদের অভাব হয় না। অনেকে সন্তান লাভের জন্য এই দিনে উপোসও রাখেন।
No comments:
Post a Comment