গৃহবধূর সাথে প্রেম, এর জেরে খুন হতে হল যুবককে। স্বরূপ প্রামানিক, ২৭,বাড়ি বাঁকুড়া। স্বরূপের সঙ্গে গৃহবধূ চম্পা রুইদাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোনে প্রেমালাপ, তার পর মেলামেশা, বেড়ে যায় ঘনিষ্ঠতা।
গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি আসানসোলে, চম্পার স্বামী গৌতম রুইদাস, পেশায় অটোচালক। যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারলে স্বামী গৌতমের সাথে বচসা বাঁধে।
২৭, এ মে শুক্রবার দিন স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি হাড়োয়ার গোপালপুরে দাসপাড়ায় চলে আসে চম্পা।আর সেখানেই যুবককে খুনের পরিকল্পনা করে সে। গতকাল রবিবার রাত্রিবেলা যুবককে ফোনে বাড়িতে আসার কথা বলে ওই গৃহবধূ । স্বরূপের খুনের পরিকল্পনার ছক করে চম্পা, চম্পার স্বামী গৌতম, বাবা খোকন সাহা ও দিদি চৈতালি সাহা এই চারজন।
জানা গেছে ওই যুবককে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করা হয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে চারজন মিলে শ্বাসরোধ করে ওই যুবককে খুন করে। তারপর প্লাস্টিক বস্তা চাপা দিয়ে আমবাগানের দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে তারা।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার গোপালপুর একনম্বর পঞ্চায়েতের গোপালপুর দাস পাড়ায়।
এই খবর জানতে পারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখে যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে, যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে, হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
যুবক খুনের ঘটনায় গৃহবধু চম্পা, স্বামী গৌতম, বাবা খোকন সাহা, দিদি শম্পাকে গ্রেফতার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ। তদন্তে খুনের কথা স্বীকার করেছে তারা। আজ এই চারজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন,না এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে সেটাও তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারীরা। খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment