নারদ মুনি ব্রহ্মার ৭ মানস পুত্রের একজন। তিনি মহাবিশ্বের প্রথম সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। নারদ মুনি জীবনে যা কিছু তথ্যের আদান-প্রদান করেছেন, তা সর্বদা মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করেছেন। নারদ জয়ন্তী উপলক্ষে জেনে নিন কেন তিনি একজন প্রকৃত সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত?
তিনি ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি নারদ জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। এই বক্তব্যের পেছনের কারণ জেনে নিন এবং সাংবাদিকতার প্রকৃত ধর্ম নারদ মুনির কাছ থেকে জেনে নিন।
নারদ মুনি নিরন্তর চলাফেরা ও বিচরণ করার বর পেয়েছেন। এই কারণে, তিনি সর্বদা সমস্ত জগতে ভ্রমণ করতে থাকেন এবং সেখানকার অবস্থার খবর নিতে থাকেন। যখনই তিনি যে কোন জগতে যান, সেখানে তিনি নারায়ণকে দুঃখ ও সুখের তথ্য জানান। এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণ। একজন সাংবাদিকের কাজ হল দুই ব্যক্তির মধ্যে সংলাপ সৃষ্টি করা এবং ধারণার মধ্যে মধ্যস্থতা করা। তাই তাঁকে বিশ্বজগতের প্রথম সাংবাদিক বলা হয়।
ভগবান বিষ্ণুকে বলা হয় জগতের ধারক। দেবর্ষি নারদ আসলে ভগবান বিষ্ণুর প্রকৃত দূত। নারদ মুনি মহাবিশ্বের সমস্ত জগতে যান এবং যখনই তিনি মানুষকে সমস্যায় পড়তে দেখেন, তখনই তিনি নারায়ণের কাছে সমস্ত পরিস্থিতি তুলে ধরেন, যাতে নারায়ণ শীঘ্রই মানুষের সমস্যা দূর করে এবং সেখানে জনকল্যাণ হয়।
নারদ মুনি ভক্ত প্রহ্লাদ, অম্বরীশ ও ধ্রুবের আর্জি নিয়ে ভগবান নারায়ণের কাছে পৌঁছেছিলেন এবং তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তাঁর ন্যায়বিচার পান। বর্তমান সময়েও নারদ মুনির কাছ থেকে সাংবাদিকতা শেখার প্রয়োজন আছে, যা তিনি কোনো স্বার্থপরতা থেকে নয়, জনস্বার্থে করে চলেছেন। নারদ মুনি অমরত্ব লাভ করেন। আজও তিনি সমস্ত জগতে পরিভ্রমণ করেন এবং পৃথিবীর অবস্থাও নারায়ণের কাছে গিয়ে বলেন।
নারদ মুনিও একজন পথপ্রদর্শক।
নারদ মুনি বেদের দূত হিসেবেও পরিচিত। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে তিনি শুধু দেবতাদের নয়, অসুরদেরও সঠিক পথ দেখিয়েছেন। তিনি নারায়ণ, শিব ও ইন্দ্রের উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচিত। নারদ মুনিকে মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদ ব্যাস এবং রামায়ণের রচয়িতা মহর্ষি বাল্মীকির গুরুও বলা হয়।
No comments:
Post a Comment