মহারাষ্ট্র সহ সারা দেশে লাউডস্পিকার নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার সিদ্ধান্তে জানিয়েছে যে আজানের জন্য মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা মৌলিক অধিকার নয়। হাইকোর্ট রায় দেওয়ার সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতির আবেদন খারিজ করে দেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাদাউনের নূরী মসজিদের মুতাওয়াল্লির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
সেই সঙ্গে আজানের জন্য লাউডস্পিকারের অনুমতি দিতে অস্বীকার করল হাইকোর্ট। বাদাউনের বিসাউলি তহসিলের বাহাওয়ানপুর গ্রামের নূরী মসজিদের মুতাওয়াল্লি ইরফানের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল।
আবেদনে এসডিএম-সহ তিনজনকে পক্ষ করা হয়েছে। SDM দ্বারা লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে আবেদন খারিজ করার একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।
আবেদনে হাইকোর্টকে বলা হয়, মৌলিক অধিকারের আওতায় লাউডস্পিকার বাজানোর অনুমতি দিতে হবে। বুধবার বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা ও বিচারপতি বিকাশের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়।
আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে বলেন, আজানের জন্য মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার মৌলিক অধিকারের আওতায় আসে না। লাউডস্পিকারের অনুমতি দেওয়ার জন্য অন্য কোনও কংক্রিট ভিত্তি দেওয়া হয়নি। আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মহারাষ্ট্র নব-নির্মান সেনার সভাপতি রাজ ঠাকরে ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার অপসারণের দাবী করেছিলেন। এই বিষয়ে, এমএনএস প্রধান হুমকি দিয়েছিলেন যে যতক্ষণ লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান দেওয়া হবে ততক্ষণ হনুমান চালিসা বাজানো হবে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন রাজ ঠাকরে।
No comments:
Post a Comment