হিন্দু ধর্মে সমস্ত উপবাসের আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। তবে একাদশীর গুরুত্ব সব উপবাস থেকে বেশি। একে মোক্ষলাভের উপবাসও বলা হয়। কথিত আছে একাদশীর উপবাস করলে মানুষের পাপ ধুয়ে যায় এবং মৃত্যুর পর ব্যক্তি বৈকুণ্ঠে যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, একাদশীর উপবাসের ফল তখনই পাওয়া যায় যখন ব্যক্তি উপবাসের সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে চলে।
একাদশীর উপবাসে পারণকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেই উপবাসের নিয়ম সম্পর্কে।
মোহিনী একাদশীর উপবাসের নিয়ম:
শাস্ত্র অনুসারে, একাদশীর উপবাস ভঙ্গ করা উচিৎ নয়। উপবাস ভাঙ্গার পদ্ধতিকে বলা হয় পারণ। দ্বাদশী তিথিতে একাদশীর উপবাস ভঙ্গ হয়।
পারণের সময় মনে রাখবেন যে পারণ সবসময় সূর্যোদয়ের পরেই করা উচিৎ।
প্রতি মাসের উভয় পক্ষের একাদশী তিথিতে একাদশী উপবাস পালন করা হয়।বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী মোহিনী একাদশী নামে পরিচিত। এবার মোহিনী একাদশী পড়ছে ১২মে। একাদশী তিথি ১১ মে সন্ধ্যা ৭:৩১ মিনিটে শুরু হবে এবং ১১মে সন্ধ্যা ৬:৫১ টায় শেষ হবে।
মোহিনী একাদশী পারণের সময়:
একাদশী উপবাস ১৩ মে ভঙ্গ হবে। একাদশীর উপবাস ভাঙার উত্তম সময় হল সকাল। তাই সকালে স্নান করে শ্রী হরির আরাধনা করে তবেই উপবাস ভাঙবেন।
No comments:
Post a Comment