বেশ কয়েক মাস ধরে রেপো রেট ৪ শতাংশে ছিল, যা একটি ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন স্তর ছিল। মুদ্রাস্ফীতির কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর সুদের হার বাড়ানোর চাপ ছিল।
দীর্ঘ বিরতির পর বুধবার হঠাৎ করেই রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। এখন এক ধাক্কায় রেপো রেট ০.৪০ শতাংশ বেড়ে ৪.৪০ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এখন সস্তা ঋণের যুগের অবসান হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণায় জনগণের উপর ইএমআই-এর বোঝা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার আচমকা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। সম্মেলনে গভর্নর দাস জানান, রেপো রেট ০.৪০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে এমপিসির সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট ০.৪০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির কারণে এমপিসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের MPC রেপো হারের পাশাপাশি ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (CRR) 0.50 শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গভর্নর দাস বলেন, মধ্যমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরদার করতে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এখন গতি হারাচ্ছে। রেপো রেট বাড়ানোর পাশাপাশি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক MPCও সুবিধাজনক মুদ্রানীতির অবস্থান বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে রেপো রেট বাড়ায় সাধারণ মানুষের পকেটে আঘাত নিশ্চিত। এখন বর্ধিত ইএমআই ইতিমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি সাধারণ মানুষের বাজেটে ধাক্কা দিতে চলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের পর গৃহঋণ ও গাড়ি ঋণসহ সব ধরনের ঋণের সুদের হার বাড়বে, যার কারণে বাড়বে ইএমআই-এর পরিমাণ।
চলতি অর্থবছরেও মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরবিআই-এর মতে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment