মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার সংক্রান্ত ৩ মে এর আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর, বুধবার, তাদের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ ঠাকরে এবং তার কর্মীরা রাস্তা থেকে লাউডস্পিকার বন্ধ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন। নেতাকর্মীরা লাউডস্পিকার লাগানো মসজিদের কাছে হনুমান চালিসা পড়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশ বিপুল সংখ্যক এমএনএস কর্মীকে ধরে ফেলে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে হাইভোল্টেজ নাটক। এর পর রাজ ঠাকরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সামনের কৌশল ঘোষণা করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ ঠাকরে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর প্রতিবাদ কোনও বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। এই প্রতিবাদ সামাজিক। লাউডস্পিকার অন্যদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। যদি মন্দিরে ভুলভাবে লাউডস্পিকার লাগানো থাকে, তাহলে তাও সরিয়ে ফেলতে হবে।
রাজ ঠাকরে বলেন, "আজ ৪ মে। আমরা সরকারকে ৩ মে পর্যন্ত অনুরোধ জানিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম যে সমস্ত লাউডস্পিকার সরাতে হবে। আমরা আরও বলেছিলাম, সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের অপসারণ না করলে ওইসব মসজিদের সামনে আমরা হনুমান চালিসা করব। আমরা আমাদের আগের ঘোষণার মতোই কাজ করেছি। মহারাষ্ট্র পুলিশ আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করছে। আমি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে এখানকার ১৫০০টি মসজিদের মধ্যে আজও ১৩৫।টি লাউডস্পিকারের মাধ্যমে শোনা গেছে। সর্বোপরি, কে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? "
রাজ ঠাকরে বলেন যে মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা চান তিনি। দাঙ্গা চান না। 'আমরা শুধু চাই যে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানা হোক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে তা ঠিক নয়। সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানলে কী করবেন? অনুরোধের ভাষা না বুঝলে আন্দোলন শুরু হয়। এজন্য আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। এটা একদিনের আন্দোলন নয়, সব লাউডস্পিকার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।'
No comments:
Post a Comment