আচার্য চাণক্য তার নীতিশাস্ত্রে বলেছেন যে, সাফল্যের সাথে সাথে শত্রুও নিয়ে আসে। একজন সফল ব্যক্তিকে তার শত্রুদের থেকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। চাণক্যের মতে, শত্রু দুই প্রকার, এক যারা দৃশ্যমান ও পরিচিত। অন্যগুলো এমন যেগুলো দৃশ্যমান নয় অপরিচিত।
আচার্যের মতে, অজানা শত্রুরা বেশি বিপজ্জনক, তারা প্রথমে লুকিয়ে ব্যক্তির দুর্বলতা শনাক্ত করে এবং তারপর পেছন থেকে আক্রমণ করে। তাই এ ধরনের শত্রুদের থেকে সবসময় দূরে থাকা উচিত।
আচার্য চাণক্য নীতিশাস্ত্রে শত্রুদের এড়ানোর অনেক উপায় দিয়েছেন।
পরিকল্পনা :
আচার্য চাণক্যের মতে, শত্রুকে কখনই দুর্বল ভাবা উচিৎ নয়। মনে রাখবেন সবার সাথে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন না। পরিকল্পনাগুলি সর্বদা দায়িত্বশীল এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করা উচিত। শত্রুরা এই অভ্যাসের সুযোগ নিয়ে কাজে বাধা দিতে পারে।
সতর্কতা প্রয়োজন:
চাণক্য নীতিশাস্ত্র বলে যে, একজনকে মনে রাখতে হবে যে শত্রুরা সর্বদা উপর নজর রাখে। অতএব, সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে এবং এমন কোনও কাজ করবেন না, যা শত্রুকে আপনার উপর জয়লাভ করার সুযোগ দেয়।
খারাপ করা :
আচার্য চাণক্য বলেছেন, যদি জীবনে বড় সাফল্য পেতে চান এবং শত্রুকে পরাজিত করতে চান, তবে কারও খারাপ করবেন না এবং খারাপ কথা শুনবেন না। খারাপ কাজ করা এবং শোনাও ক্ষতির কারণ হয় এবং শত্রুকে শক্তি দেয়। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিৎ।
সীমা :
আচার্য চাণক্যের নীতি বলে যে মানব জীবনের প্রতিটি সম্পর্কের একটি সীমা রয়েছে। এই সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। শত্রুরাও এই অভ্যাসের সুযোগ নেয়। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবসময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment