ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। এগুলো ফুসফুসকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফুসফুসের কারণে হাঁপানি, ক্যান্সার, যক্ষ্মা ও নিউমোনিয়ার মতো অনেক রোগ হতে পারে। দূষণের কারণে আমাদের ফুসফুসে খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। আর তাই জল পানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট করা খুবই জরুরী । চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য কোন খাবারগুলো ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন?
রসুন:
রসুন এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রসুন আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এটি খেতে পারেন।
পালং শাক:
পালং শাকে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। পালং শাকে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ক্লোরোফিল, জিক্সানথিন এবং লুটেইন। এতে ক্লোরোফিলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
কিশমিশ:
কিশমিশ ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক মুঠো কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারেন। এটিও ফুসফুসকে সুস্থ রাখে।
টমেটো:
টমেটোতে লাইকোপেন নামক উপাদান থাকে। এটি ফুসফুসকে সুস্থ ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা যেমন ক্যান্সার ইত্যাদির ঝুঁকিও কমায়।
মেথি:
মেথি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ফুসফুস সুস্থ রাখতে মেথি চা খেতে পারেন। এই চা পান করলে কফ কমে যায়। ফুসফুস পরিষ্কার রাখলে ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
হলুদ:
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান। এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটিতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি দূষণের কারণে সৃষ্ট প্রদাহ থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আদা:
আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান থাকে। এটি কাশি কমাতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে পাওয়া পুষ্টি ফুসফুসের প্রদাহ কমায়।
No comments:
Post a Comment