করোনা সংক্রমণ থেমে যাওয়ার পর এ বার চারধাম যাত্রায় প্রচুর তীর্থযাত্রী পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ধামে তীর্থযাত্রীদের ভিড়, বাসস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ, জল নিয়ন্ত্রণে সরকার পরীক্ষা করা হবে।
৩রা মে অক্ষয় তৃতীয়ায় গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে দিয়ে চারধাম যাত্রা শুরু হবে। ৬ মে কেদারনাথ ধাম এবং ৮ মে বদ্রীনাথ ধামের দরজা খুলবে।
গত দুই বছর কোভিড মহামারীর কারণে চারধাম যাত্রার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছিল, তবে এবার তীর্থযাত্রীরা প্রচুর পরিমাণে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। এক মাস আগে থেকেই হোটেল বুকিং শুরু হয়েছে।
গাড়ওয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের রেস্ট হাউসে বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। কেদারনাথ ধামের হেলি পরিষেবার জন্য অনলাইনে টিকিট বুকিং ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। একই সঙ্গে কেদারনাথ ধামে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সরকারের সামনে পুনর্গঠনের কাজ অব্যাহত থাকায় চারধাম যাত্রার ব্যবস্থা করার দ্বৈত চ্যালেঞ্জ হবে।
যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে না। হজযাত্রীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে। যেটিতে একদিনে কতজন ভ্রমণ করতে পারবেন তা নির্ধারণ করা হবে।
জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে যাত্রীবাহী যান ট্র্যাক করা হবে। সব বিভাগই নিজেদের পর্যায়ে প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত।
চারধামের যাবতীয় প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য গাড়ওয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কেদারনাথে তাঁবুর ব্যবস্থা করা হবে।
একই সঙ্গে কেদারনাথ পুনর্গঠনের কাজ চলবে ৫ মে পর্যন্ত। এ জন্য ঠিকাদারদের হেলিকপ্টারে করে নির্মাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে এবং শ্রমশক্তি বাড়াতে বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment