মালদা জেলায় মাত্র পনের দিনে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইংরেজবাজার ও হরিশচন্দ্রপুরের পর এবার মানিকচকের নারায়ণপুর কলোনিতে চার বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে।
ক্রমাগত ধর্ষণের অভিযোগের জেরে গোটা মালদা জেলায় মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। মালদায় ৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়।
রবিবার এদিন মেয়েটির পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বাড়ির সামনে মেয়েটি খেলছিল। অভিযুক্তরা নাবালিকাকে কিছু দূরে খালি জায়গায় তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটিকে নির্জন স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে অনেকক্ষণ না পেয়ে তার মা তাকে খুঁজে না পেয়ে ওই নির্জন জায়গায় মেয়েটিকে দেখতে পান।
মেয়েটির মা জানতে চাইলে মেয়েটি মাকে পুরো বিষয়টি জানায়। পরে ওই মহিলা প্রতিবেশীদেরও খবর দেন। রবিবার নির্যাতিতার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে মালদা জেলায় একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে। গত পাক্ষিকে উত্তরবঙ্গের এই জেলায় তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি মালদহের ইংরেজবাজার থানার এক কিশোরকে বারবার শারীরিক নির্যাতন করা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ রেহান। অভিযোগ রয়েছে যে নেতার দুই ভাই, যারা নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করে, তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। যদিও পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
প্রশ্ন উঠেছে মালদা জেলায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
মেলা দেখে ফেরার সময় মালদার হরিশচাঁদপুরের চণ্ডীপুরে অষ্টম শ্রেণির ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাকে জোর করে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মেয়েটির বোন তার সঙ্গে ছিল।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার বোনকে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি খালি ঘরে তাকে অসহনীয় নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
বারবার ধর্ষণের অভিযোগের এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মানিকচকের ঘটনা, কিন্তু একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। এ জেলার নারীরা কি আদৌ নিরাপদ?
No comments:
Post a Comment