পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে আস্থা ভোটে হেরেছে ইমরান খান সরকার। এখন এর পর ১১ এপ্রিল (সোমবার) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট হবে।
শনিবার মধ্যরাতের পরে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে তাকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়। ইমরান খান দেশের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে।
৬৯বছর বয়সী ইমরান খান ভোটের সময় নিম্নকক্ষে উপস্থিত ছিলেন না এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর এমপিরাও ওয়াক আউট করেছিলেন। তবে পিটিআই-এর বিদ্রোহী সদস্যরা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।
ইউনাইটেড বিরোধী দল আগেই ঘোষণা করেছিল যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ সভাপতি শাহবাজ শরীফ তাদের যৌথ প্রার্থী হবেন।
সোমবার দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন শাহজাব শরীফ। এদিকে, নতুন সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে লিপ্ত হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শাহবাজ।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খান ২০১৮ সালে 'নয়া পাকিস্তান' তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার মৌলিক সমস্যা মোকাবেলায় শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হন।
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। এখন মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। জাতীয় পরিষদের বর্তমান মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্টে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
No comments:
Post a Comment