গবেষণায় দেখা গেছে যে কীভাবে করোনা ভাইরাস আপনার দেহে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অবিরত থাকবে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার ভাইরাস থেকে উদ্ধার পাওয়া গুরুতর রোগীদের প্রায় ৭৫ শতাংশ বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অবসন্নতা, স্ট্রেস এবং উদ্বেগের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে ফিরে এসেছেন।
কিছু শহরে কোভিড কেয়ার ক্লিনিকগুলি খোলা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনা থেকে পুনরুদ্ধার করা রোগীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। বেশিরভাগ লোক ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার পরে অ্যান্টিবডিগুলি অর্জন করে, যা পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা রোধ করে। তবে এই অ্যান্টিবডি কতক্ষণ কার্যকর তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রবীণ বা যারা উচ্চ ঝুঁকির বিভাগে আসে তাদের ক্ষেত্রে পোস্ট কোভিড যত্ন বেশি প্রয়োজন। অতএব, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও, কেউ তার স্বাস্থ্য উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
নতুন গাইডলাইনে, সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে লোককে মাস্ক পরার পাশাপাশি আরও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আসুন একবার দেখে নিই:
১. শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য জল, রস ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন। লুকওয়ার জল আপনার গলার জন্য উপকারী হতে পারে। গাইডলাইন অনুসারে, যে রোগীদের গলা এবং ক্ষয়রোগ রয়েছে তাদের বাষ্প গ্রহণ করা উচিৎ এবং গরম জল দিয়ে গার্গল করা উচিৎ। রোগীরা তাদের অনাক্রম্যতা বাড়াতে ডিকোশনও নিতে পারেন।
২. অনেক করোনার রোগীকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তিরা শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করেন তারা শ্বাস প্রশ্বাসের অনুশীলন করতে পারেন। ওয়ার্কআউট করে আপনার অনাক্রম্যতাও উন্নত করা যায়। যোগব্যায়াম আপনার চাপ কমাতেও সহায়ক।
৩. ভিটামিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য শরীরকে সুস্থ রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কোভিডের কারণে আপনার দেহে প্রচুর স্ট্রেস রয়েছে এবং ওষুধগুলিও আপনার দেহকে দুর্বল করতে পারে। তাই ফলমূল, শাকসব্জী, ডিম এবং নিরাপদ হাঁস-মুরগিতে ভরপুর সুষম খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করে নিন (যদি আপনি নিরামিষ নিরামিষ হন)। ভালভাবে রান্না করা খাবার খান।
৪. সুস্থ ব্যক্তি হওয়ার জন্য প্রচুর ঘুম খুব জরুরি। রোগ থেকে বেরিয়ে আসার পরে শরীরকে খুব বেশি সমস্যা না দিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম দিন।
৫. ধূমপান এবং অ্যালকোহল অপব্যবহার কোভিড সংক্রমণের কারণ হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment