এই সুন্দর উদ্ভিদটির অনেক আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। এই উদ্ভিদটি পারিজাত, হরসিঙ্গার, জুঁই, রাতের রানী নামেও পরিচিত। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ছোট লাল-সাদা ফুলের একটি উদ্ভিদ। জানলে অবাক হবেন যে এটি শুধু সুন্দরই নয় অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতায় পরিপূর্ণ।
ডাঃ দিক্ষা ভাস্বর শেফালী ফুলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন। শেফালী ফুলের বোটানিক্যাল নাম নায়কটানথেস আরবর -ত্রিসটিস। আসুন জেনে নেই এর আশ্চর্যজনক উপকারিতাগুলো কি কি
সায়াটিকায় উপকারী: তিন থেকে চারটি পাতা পিষে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এটি ছেঁকে নিয়ে দিনে দুবার খালি পেটে পান করলে সায়াটিকার ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে খুব বেশি সেবন না করাই ভালো।
বাতের ব্যথায় চিকিৎসায় সহায়ক: এর পাতা, ফুল ও বাকল নিয়ে ২০০ মিলি জলে মিশিয়ে সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না জল ১/৪ অর্থাৎ ৫০ মিলি থাকে। এই জল পান করলে শীতে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
শুষ্ক কাশি: আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বেশিরভাগ মানুষই কাশিতে ভুগে থাকে। এ থেকে উপশম পেতে গাছের শুকনো পাতা নিন এবং মর্টারে পিষে নিন। এবার এর রস বের করে মধুর সঙ্গে খেলে শুকনো কাশিতে উপশম হয়।
অন্ত্রের কৃমি: পেটের কৃমির সমস্যা শিশুদের মধ্যে সাধারণ। এর থেকে উপশম পেতে দুই চামচ পাতা পিষে এর রস মিশিয়ে চিনি ও জলের সাথে খান।
জ্বর: আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর-কাশির প্রকোপ বেড়েছে। এই গাছের ৩ গ্রাম ছাল এবং ২ গ্রাম পাতার সাথে তুলসীর ২-৩ টি পাতা নিন। জলে সেদ্ধ করে দিনে দুবার পান করুন।
উদ্বেগ উপশম : স্ট্রেস এবং উদ্বেগ উপশম করতে অ্যারোমাথেরাপিতে রাতের শেফালী ফুলের তেল ব্যবহার করা হয়। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
ব্যথা এবং ফোলা: শরীরের যেকোনও ধরনের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে কয়েকটি পাতা জলে সেদ্ধ করে দিনে একবার সেবন করুন। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
সর্দি, কাশি এবং সাইনাস: পাতা ও ফুল ও কিছু তুলসী পাতা জলে সেদ্ধ করে পান করুন। কাশি এবং সাইনাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment