সুগার এমন একটি রোগ যা যুবক-যুবকরাও এর শিকার হয়। আগে এই রোগটি বয়স্ক লোকদের হত, তবে খারাপ জীবনযাত্রার কারণে এখন যুবকরাও এই রোগে ভুগছেন।ওষুধ ছাড়াও একজন ডায়াবেটিস রোগীরও ডায়েটের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ঘরোয়া প্রতিকারটি কী এবং কীভাবে আপনি এটি ব্যবহার করে উপকৃত হবেন তা জেনে নিন।
গিলয় সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণ করবে :
গিলয় একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এটি বিভিন্ন ধরণের রোগে কার্যকর। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর সাথে এই ভেষজটিকে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ বিষয় হ'ল গিলয় বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আপনি এটি একটি ডিকোশন, গুঁড়া বা রস আকারে ব্যবহার করতে পারেন। গিলয়ের সেবন সুগারের রোগীদের জন্য খুব উপকারী। ইনসুলিন সেবন করে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গিলয় হাইপোগ্লাইসেমিক এজেন্ট হিসাবে কাজ করে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
সুগারের রোগীদের গিলয়কে এভাবে খাওয়া উচিত :
কিছু গিলয় পাতা নিন এবং জলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন
এই পাতা ৪০০ মিলিগ্রাম জলে সিদ্ধ করুন,
জল অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জল সিদ্ধ করুন,
এবার এই জলটি ফিল্টার করে এক গ্লাসে রাখুন,
গ্লাসে ২ থেকে ৩ পিঞ্চ কালো মরিচের গুঁড়ো যুক্ত করুন
এই জলে ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম গিলয় দিয়ে দিনে একবার পান করুন,
এটি নিয়মিত খেলে সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গিলয় সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ,
অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে,
কারও যদি মারাত্মক সমস্যা হয় তবে অবশ্যই সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment