এই তো সেদিনের কথা। স্কন্দনাভ (স্ক্যান্ডানেভিয়া) , দিনেমার (ডেনমার্ক), ওলন্দাজ(হল্যান্ড) ব্যবসায়ীরা গাল ফুলিয়ে বসে আছে, কারণ ইংরেজ , ফরাসী আর পর্তুগিজরা মিলে, ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে যে যার মতো লুটে পুটে খেলেও তারা অন্য ইউরোপীয়ানদের মতো ‘ন্যায্য’ পাওনাটা, মানে, বাকী অংশটুকুর ‘কাটমানি’টাও খুবলে খেতে দিচ্ছে না ।
চাইলেই, সাহেবরা নিজেদের মধ্যেই কামড়া-কামড়ি শুরু করে দেয়। যেন রেল লাইনে কাটা পড়া আহত ভারতীয় সভ্যতার দেহের ওপর একের পর এক ইউরোপ থেকে বিভিন্ন শকুন উড়ে এসে, আহতর চামড়ায় ফুটো করে মাথা ঠেসে ঢুকিয়ে, মাংস ছিঁড়ে খেতে খেতে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে। শিক্ষিত, সাহেবদের উন্নয়নের ঝগড়া। আমাদের ‘শিক্ষিত করে’, ‘আসলি প্রেম-ধর্ম-পথে’ চলা শেখানোর চেষ্টায় ওদের সেই আঁচড়-কামড়ের মারামারিটা দেখার জিনিস। যেন শয়তানের চেলারা হাতে উন্নত বিজ্ঞানের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসেছে ঈশ্বরকে বাতিল করে নিজে রাজা হতে।
বাঃ ! মানবিকতার শিক্ষা, দার্শনিক দীক্ষা পাবার আগেই তো ওরা জ্ঞান-বৃক্ষের ফল খেয়ে ঝোপের আড়ালে ঈভকে নিয়ে, শর্টকাটে ঝটপট জ্ঞানী হয়ে গেছে না!! সেই জ্ঞান আমাদের ছড়িয়ে দিতে এসেছে ভালোবেসে । আমাদের কষ্ট দেখে বুক ফেটে যাচ্ছিলো, তাই এত্তো ঝক্কি বয়ে কতদূর থেকে আসা।
জ্ঞান, ভালোবাসা ঠিকমতো গুঁজে দিতে তারপর কতো আধুনিক উন্নত রকমের সব মারণাস্ত্র নিয়ে ওরা আসলো! কেউ নিয়ে আসছে জাহাজে বোঝাই করে, কেউ অস্ত্র আনছে প্লেনে, কেউ আনছে ডুবো জাহাজে । কেউ আসছে শান্তি বিলোতে ঘোড়া অথবা উটে চেপে মরুভূমি ডিঙিয়ে তরোয়াল ঘোরাতে ঘোরাতে হৈ হত্যা করতে করতে। তখন কেউ নিজেদের
No comments:
Post a Comment