প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো বৈশাখী জহুরাতলা কালী পুজো এবং মেলায় জৌলুসহীন হয়ে রইলো। এমনকি অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জহুরাকালী বাড়ির পুজো দিতে গিয়ে মানুষের তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কথায় আছে, ভক্তিভরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয় ভক্তদের। কিন্তু করোনা সংক্রমনের জেরে সবকিছুই ম্লান করে দিয়েছে বৈশাখী জহুরাকালী পুজোর। হাতেগোনা কিছু ভক্তেরাও পুজো দিতে এলেও তাদের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে করোণা মহামারীর যাতে ধ্বংস হয়। এই মহামারী দেশ থেকে যাতে বিদায় নেয় ।
সে জন্যই কিছু ভক্তেরা জহুরাকালী বাড়িতে পুজো দিতে আসছেন। কিন্তু ভক্তদের ভিড় কমে যাওয়ায় কোন উচ্ছ্বাস নেই পুজোয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে জহুরাকালী বাড়ির পুজোকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে যে উৎসাহ , উদ্দীপনা দেখা দিত । এবারে তা নেই । এমনকি এই পূজাকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির দোকান অন্যান্য সামগ্রীর দোকান এলাকাজুড়ে বসতো। তাও এবারে বন্ধ। করোনার জেরে সকলের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও জহুরাকালী মাতার কাছে ভক্তেরা নিবেদন করছেন দ্রুত যাতে দেশ থেকে বিতাড়িত হয় করোনার মতোন এই মহামারী।
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জহুরাকালী বাড়ির পুজো । প্রতিবছর বৈশাখ মাস জুড়ে ধুমধাম করে পালিত হয় জহুরাকালী মাতার পুজো । শনি এবং মঙ্গলবার মূলত এই দুদিন ভক্তদের বেশি ভিড় হয়। এছাড়াও অন্যান্য দিন ভক্তেরা ভিড় করেন। এই পুজোয় পাঠা বলি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের জেরে গত বছর থেকেই এই পুজো প্রায় জৌলুস হারিয়েছে । এবছরও এই পুজোতে জমায়েত ঠেকাতে নানান সরকারি নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে এবারেও ভক্তদের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই ।
No comments:
Post a Comment