বিহার , উত্তর প্রদেশ থেকে করোনার মৃতদেহ মালদার মানিকচকের গঙ্গা নদীতে ভেসে আসার আতঙ্কে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে মৎস্যজীবীরা। এমনকি শুক্রবার অক্ষয় তৃতীয়ার মুহূর্তে গঙ্গা নদীতে সাধারণ মানুষের পুজোপাঠ এবং স্নান করার ভীড় লক্ষ করা যায় নি। করোনার সংক্রমণ জেরে মৃত্যু হওয়া দেহ যেকোনো মুহূর্তে মানিকচকের গঙ্গা নদী হয়ে বই আসতে পারে । এই আতঙ্ক এখন গ্রাস করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও গত ৪৮ ঘন্টা ধরে রাজ্য সরকারের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই ব্যাপক নজরদারির কাজ চালানো শুরু করেছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন । মালদা জেলার ডিএসপি পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে চলছে মালদার মানিকচকের গঙ্গা ঘাটের তদারকির কাজ ।
যদিও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে ভিন রাজ্য থেকে করোনায় ভাসিয়ে দেওয়া দেহ এই পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত মালদার মানিকচকের গঙ্গার ঘাটে আসার কোন সম্ভাবনা নেই । তবুও সরকারের নির্দেশ মেনে গঙ্গা নদীর ঘাটে যন্ত্রচালিত নৌকার মাধ্যমেই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। এদিকে এই পরিস্থিতির জেরে গঙ্গায় মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকশো মৎস্যজীবী । মানিকচকের গঙ্গা এবং রাজমহল ঘাট থেকে প্রতিদিনই কয়েকশো কুইন্টাল মাছ উৎপাদন হয়। যে মাছ মূলত মালদা হয়ে উত্তরবঙ্গ , আসামে রপ্তানি হয়ে থাকে।
কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে গত ৪৮ ঘন্টা ধরে মানিকচকের গঙ্গা নদীতে সম্পূর্ণভাবে জেলেরা মাছ ধরার কাজ বন্ধ রেখেছেন । তাদের মধ্যেও করোনার দেহ ভেসে আসা নিয়ে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের যদি জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে তা নিয়েও রীতিমত আতঙ্কিত সংশ্লিষ্ট এলাকার মৎস্যজীবীর পরিবার। মালদা ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীরা মাছ ধরবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ মেনে মানিকচকের গঙ্গা নদী থেকে সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে । এখনো কোথাও কোন রকম ভাবে কোনো দেহ উদ্ধার হয় নি।
No comments:
Post a Comment