ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে মরার আগে জরুরী ভিত্তিতে হাওড়া জেলার দীপাঞ্জল আমতার চিৎনান এলাকায় রূপনারায়ন নদীর বাঁধের সংস্কারের কাজ শুরু করে দিলো সেচ দপ্তর। সূত্রের খবর মাসখানেক আগে চিৎনান এলাকার দক্ষিণ পাড়ার কাছে প্রায় সাড়ে ৪০০ মিটার নদী বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। ক্রমশ সেই ভাঙ্গন বাড়তে থাকায় আতঙ্ক দেখা দেয় মানুষের মধ্যে।
বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পূর্ণিমার কোটাল থাকায় রাতের ঘুম হয়েছিল বাসিন্দাদের। এদিকে দিন কয়েক আগে নিজের এলাকার নদী বাঁধের ভাঙ্গন পরিদর্শনে আসেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। আর তার পরেই তিনি বাঁধ সংস্কারের জন্য সেচ দপ্তরকে অনুরোধ করেন।আর বিধায়কের অনুরোধের পরেই জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করে সেচ দপ্তর।
বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি মরা কোটালের প্রভাবে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হয়ে গ্রামে জল ঢুকতে পারে। এর ফলে চাষবাস থেকে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। আর সেই কারণেই নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান উত্তর ভাটোরা এলাকায় ১ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ ভাটোরা ফুটবল মাঠের কাছে ১০০ মিটার নদী বাঁধ বোল্ডার পিচিং করা হয়েছে। এছাড়াও চিৎনান, ঘাঁটাপাড়া, পালপাড়া এলাকায় রূপনারায়ণের বাঁধ বোল্ডার পিচিং করা হয়েছে। বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত আছে। যেসব মানুষ কাঁচা বাড়িতে আছেন তাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পানীয় জল ও ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দীপাঞ্চল ভাটোরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অক্সিজেন এর পাশাপাশি দুটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান বিধায়ক সুকান্ত পাল।
No comments:
Post a Comment