রবিবার সারাদিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের ২২৮ কিমি নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন বাসন্তী কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল।পাশাপাশি বিধায়ক নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলে ইয়াস ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সতর্ক করে সচেতন করে তোলে সাধারণ মানুষজন কে।এমনকি তিনি মানুষজন বলেন আতঙ্কিত হবেন না,সরকার আপনাদের পাশে আছে এবং সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিন উপস্থিত ছিলেন বাসন্তী সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শাহনাজ খান,রামচন্দ্র খালি জিপির উপ প্রধান হায়দার গাজী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধান,বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক।২০০৯ সালের ২৫ মে আয়লা,নভেম্বরে বুলবুল,২০২০ সালের ২০ মে আমফান বিগত বছর গুলির এই প্রতিটি সাইক্লোনে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়ে ছিল সুন্দরবন।ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছিল।
তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সুন্দরবন।আর সেই সময় আবহাওয়া দফতরের সূত্রে খবর আগামী ২২ মে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে।যা থেকেই তৈরি হতে পারে সাইক্লোন।ঝড়ের অভিমুখ হতে পারে বাংলার দিকে।আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম যশ বা ইয়াস।
এদিন বিধায়ক নফরগঞ্জ বিরিঞ্চিবাড়ি বাসন্তী সজনেতলা,ছয় নম্বর সোনাখালি,ভরতগড় সহ বিভিন্ন এলাকার নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন বিধায়ক শ্যামল মন্ডল।বিশেষ করে সুন্দরবনের হোগল নদী,হানা নদী,বিদ্যা নদী,মাতলা নদীর বাঁধ দেখভাল করেন।তবে ৫ কিলোমিটার নদীর বাঁধ দ্রুতগতিতে চলছে।আর এই বাঁধের কাজে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি এগিয়ে আসেন এবং ১০০ দিনের কাজে চলছে মাটির কাজ।
No comments:
Post a Comment