এবছর অতিবৃষ্টির ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের ফলে বাইরে যাচ্ছে না তরমুজ তাই অন্য বছরের তুলনায় কমেছে দাম। খরচ রয়েছে একি, তাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তরমুজ চাষীরা।
জানা যায় যে চন্দ্রকোনার কালাকড়ি, মানিককুণ্ডু,জাড়া, বড়োআকনা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার চাষীরা আলুর পরেই তরমুজ চাষে মেতে ওঠেন। এককথায় অর্থকরী ফসল হিসাবে এই এলাকার মানুষরা তরমুজ চাষকে বেছে নিয়েছেন।
এই চাষের জন্য উপযোগী পলিমাটি, রোদ ঝলমলে আকাশ, অল্প বৃষ্টি। এই চাষে বিঘে পিছু ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয় । তরমুজ চাষী দের দাবি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি বৃষ্টি হওয়ায় নষ্ট হয়েছে গাছের ফল তার উপর লকডাউনের জেরে বাইরে যাচ্ছে না, আসছেনা কোলকাতা, ওড়িশা থেকে ক্রেতারা। তাই তরমুজের দামও কম , মাঠের তরমুজ মাঠেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
অন্যান্য বছর তরমুজ বিক্রি হয়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা কুইন্টাল হিসাবে, আর এই বৎসর তরমুজের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কুইন্টাল ।আংশিক লকডাউনের জন্য বাইরের জেলা থেকে আসছে না ক্রেতারা এতেই দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষীরা। তাদের দাবী রাজ্য সরকার এই তরমুজ মজুত করার জায়গা ও তাদের জন্য যেন কিছু ভাবে।
No comments:
Post a Comment