শ্রমিকদের অন্ধকারে রেখে তাদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমনই অভিযোগে বৃহস্পতিবার তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়াগছ এলাকায়। শুধু তাইই নয়, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চা কারখানা কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার এবং হুঁশিয়ারির শিকার হলেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। এমনই ঘটনা চোপড়ার নর্থ দিনাজপুর টি ফ্যাক্টরির।
শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেককে মাসে ১৫কেজি করে চাল, ১ কেজি করে চা-পাতা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-এর বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু তাদের এই সমস্তকিছু থেকেই বঞ্চিত রাখছেন কর্তৃপক্ষ। শুধু তাইই নয়, শ্রমিকেরা অসুস্থ হলে কর্তৃপক্ষ তাতে তোয়াক্কা না করায় নিজেদের খরচেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে এইসব বিষয়ে সরকারি আধিকারিকদেরও অন্ধকারে রেখে জোর করে মহিলা শ্রমিকদের দিয়ে মিথ্যে বলিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আর তাতে শ্রমিকেরা তাদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিতে গেলে ওই কারখানার ম্যানেজার সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম ভাবে হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে ইসলামপুর মহকুমা শ্রমদপ্তরের ইন্সপেক্টর জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, ওই কারখানার শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এর আগে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়লেও নির্বাচন থাকায় ও বর্তমানে তাদের দপ্তরের অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তারা সেখানে যেতে পারছেন না। খুব শীঘ্রই সেখানে হানা দিয়ে শ্রম আইন সম্পর্কিত যেকোন বিষয় নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
No comments:
Post a Comment