আবহাওয়া দপ্তর এর হিসাব বলছে বুধবার দুপুরের পর বাংলা উপকূলে আসলে পড়তে চলেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'ইয়শ'। উপকূল থেকে বেশ কিছুটা দূরে হলেও প্রমাদ গুনছে নদীয়া জেলা বিশেষ করে রানাঘাট নবদ্বীপ শান্তিপুর ব্লকের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা কার্যত ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন। প্রবল ঝড়ে গাছ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়ে বিপত্তির রয়েছে তবে তাদের সবচেয়ে চিন্তায় রেখেছে গঙ্গা এবং চূর্ণী নদী।
গ্রামবাসীরা বলছেন এই অঞ্চলে গঙ্গার ভাঙন এমনিতেই ভয়ঙ্কর তার ওপর পূর্ণিমার দিন যদি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে তাহলে সর্বনাশ ঠেকানো যাবে না গঙ্গার তীরবর্তী একাধিক গ্রাম কার্যত নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকের অভাবে নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয়নি।
ফলে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে একই রকমভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে চূর্ণী নদী ইতিমধ্যেই দুর্নীতির থেকে বহু গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরানো প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চূর্ণী নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আগামী তিন দিন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন চূর্ণী নদীতে নৌকায় প্রচার করা হয়। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে খাদ্য সামগ্রী ওষুধ ত্রিপলের মতো অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
No comments:
Post a Comment