ক্রমশ রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়শ। রবিবার বিকেল পর্যন্ত বাংলার উপকূলবর্তী দিঘা থেকে প্রায় 650 কিলোমিটার দূরে অবস্থান এই ঘূর্ণিঝড়ের। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে গুলিতে এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। আর সেই মতো রবিবার সকাল থেকে দিনভর মাইকিং প্রচার চালালো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারে প্রস্তুতিতে কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তাই ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি নিজেই সরেজমিনে জেলার উপকূলবর্তী ব্লক গুলি পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন। দফায় দফায় বৈঠক করছেন জেলার বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে। ইতিমধ্যে উপকূলের গ্রামগুলি থেকে ২৬টি রেসকিউ সেন্টারে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হয়েছে।
পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনি সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামগুলি ঘুরে ঘুরে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন। রবিবারও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দিঘা সহ উপকূলের অঞ্চলগুলিতে উপযুক্ত পরিমাণে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমেও চলছে নজরদারি। গ্রামের সমুদ্রের জল ঢোকা আটকাতে রামনগর বিধানসভা এলাকার শংকরপুর থেকে তাজপুর যাওয়ার রাস্তার সমুদ্র বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে।
রবিবার সকালে সেই কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীরদের সাথে কথা বলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান।প্রসঙ্গত জামড়া শ্যামপুরে রাস্তা টপকে সমুদ্রের জল গ্রামের মধ্যে ঢুকে যায় ওই এলাকাতে নিয়ে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি।গতকালই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন।
No comments:
Post a Comment