উত্তর ২৪ পরগনা, ০৬ আগস্ট ২০২৫: শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থলে বিজেপির পতাকার ঝপর তৃণমূলের পতাকা লাগানোর অভিযোগ বিজেপির। বারাসতে শুভেন্দুর কন্যা যাত্রা মিছিল। সেই উদ্দেশ্যে দলীয় পতাকা, কাটআউট, ফেস্টুন টাঙ্গানো হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে। আর এগুলোর ওপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় ঝাণ্ডা দিয়ে আটকে দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজনা, উত্তপ্ত পরিবেশ। তর্কাতর্কি বিজেপি জেলা সভাপতির সঙ্গে।
শুভেন্দু অধিকারীর কন্যা সুরক্ষা যাত্রা ঘিরে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বারাসত। এইবার শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থলে ফ্লাগ লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই সেই পতাকা খুলতেও দেখা গেল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের।
বারাসতে বিজেপির কন্যা যাত্রা সুরক্ষায় থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার জন্যই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বারাসত শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুর কাট আউট, ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় ঝান্ডা টাঙ্গাচ্ছেন আর সেই ঝাণ্ডার ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা দলীয় ঝাণ্ডা দিয়ে আটকে দিয়েছেন, এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। আর এই ঝাণ্ডা টাঙানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি।
বিজেপি জেলা সভাপতি দাবী, তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে তার জন্যই বিজেপির, শুভেন্দুর পথ সভাকে কেন্দ্র করেই তারা বিজেপির ঝাণ্ডা, কাট আউট, তৃণমূলের ঝাণ্ডা দিয়ে আটকে দিচ্ছেন। অন্যদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, 'কোনও কাট আউট ঝাণ্ডা আটকানো হয়নি। বাংলা ভাষাকে যারা আক্রমণ করবে তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। বিজেপির নেতারা শান্ত জায়গা অশান্ত করতে আসছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না।'
বারাসাত পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মাতা নীলিমা মন্ডলের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী সভাস্থলের বিজেপির লাগানো পতাকার উপরে পতাকা লাগানোর অভিযোগ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় পৌর মাতা। তিনি পাল্টা দাবী করেন, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীরা, তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছে।
যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি বারাসত তিন নম্বর মণ্ডলের সভাপতি অনির্বাণ বিশ্বাসের দাবী, বিরোধী দল নেতার সভাস্থলে বিজেপির যে দলীয় পতাকা লাগানো রয়েছে, তার ওপরেই তৃণমূল পতাকা লাগাচ্ছিল, সেটাই বারণ করা হয়েছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে বারাসত থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment