চীন ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে। ড্রাগন তার আধুনিক অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করছে। সম্প্রতি, চীন পাকিস্তানকে হ্যাঙ্গর ক্লাস সাবমেরিন হস্তান্তর করেছে, যা তারা তাদের নৌবাহিনীতেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে পাকিস্তানের নৌ-ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান ৮টি সাবমেরিনের জন্য চীনের সাথে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
চীন ইতিমধ্যেই তার কৌশলগত অংশীদারকে চারটি আধুনিক ফ্রিগেট হস্তান্তর করেছে। চীন পাকিস্তানি নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার এবং নিজস্ব উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। বেলুচিস্তানে তাদের প্রকল্প CPEC BLA-এর বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে। যদি পাকিস্তানের বাহিনী শক্তিশালী হয় তবে কেবল চীনই এর সুবিধা পাবে। একই সাথে, পাকিস্তানের এই সুবিধাও রয়েছে যে তারা এই যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিনের সাহায্যে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।
পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করে চীন
গত কয়েক বছর ধরে, চীন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। তবে, আজকাল পাকিস্তান আমেরিকার সাথে তার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি তারা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান সন্ত্রাসী মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে, যার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পও পাকিস্তানের প্রশংসা করেছিলেন। এই সন্ত্রাসী ২০২১ সালে কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যেখানে ১৭০ জন আফগান এবং ১২ জন আমেরিকান সৈন্য নিহত হয়েছিল। তবে, আমেরিকা পাকিস্তানকে কোনও ধরণের তহবিল দিচ্ছে না বা কোনও ধরণের সামরিক সরঞ্জামও দিচ্ছে না।
চীন ছাড়া পাকিস্তানের আর কোন বিকল্প নেই
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার জন্য চীনের উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। SIPRI রিপোর্ট অনুসারে, গত পাঁচ বছরে চীন পাকিস্তানকে ৮১ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এটি চীনের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৬৩ শতাংশ। চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার ফলে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনাও বেড়েছে।
ড্রাগন এক তীর দিয়ে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে!
পাকিস্তানকে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে ড্রাগন এক ঢিলে দুটি পাখি মারছে। একদিকে, তারা পাকিস্তানের মতো একটি দেশ পেয়েছে, যারা সর্বদা তাদের অস্ত্র কিনতে প্রস্তুত, যার বিনিময়ে তারা ভালো বাজেট পাচ্ছে, অন্যদিকে তারা ভারতের উপর কূটনৈতিক চাপও প্রয়োগ করছে।
No comments:
Post a Comment