ব্যস্ত জীবনধারা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এইসব কারণেই আজকাল কিডনি সম্পর্কিত রোগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বেশিরভাগ মানুষকেই সমস্যায় ফেলে। কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে ময়লা অপসারণের কাজ করে। কিডনিতে ক্যালসিয়াম, ইউরিক অ্যাসিড বা অক্সালেটের মতো পদার্থ জমা হওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। আপনার খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করে এবং কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে, আপনি কিডনিতে পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নিই কিভাবে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করা যায়।
বেশি করে জল পান করুন
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। জল কম খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। কম প্রস্রাব উৎপাদনের অর্থ হল পাথর সৃষ্টিকারী প্রস্রাবের লবণ দ্রবীভূত হওয়ার সম্ভাবনা কম। বেশি জল পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা পাথর গঠনের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
সুষম খাদ্য খান
অক্সালেট উপাদানের কারণে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার অক্সালেট সমৃদ্ধ জিনিস যেমন চকোলেট, বাদাম, বিট খুব বেশি খাওয়া উচিত নয় এবং মাংস এবং মাছের অত্যধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। আপনার এগুলি কেবল সুষম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি এর আধিক্য
ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি অতিরিক্ত গ্রহণ কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এটি সুষমভাবে খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি অক্সালেট পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, অন্যদিকে ভিটামিন ডি ক্যালসিয়ামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।
সুষম পরিমাণে লবণ খান
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে পাথরের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। প্রস্রাবে লবণের উচ্চ মাত্রা ক্যালসিয়ামকে প্রস্রাব থেকে রক্তে পুনরায় শোষিত হতে বাধা দেয়, যা কিডনিতে পাথর হতে পারে।
বেশিক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখবেন না
দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনির উপর চাপ পড়ে, যা পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই প্রস্রাব করার প্রয়োজন উপেক্ষা করবেন না।
No comments:
Post a Comment