সবার জীবনেই এমন একটা সময় আসে, যখন আমরা কষ্ট পাই এবং মনে হয় জীবনের সবকিছুই উল্টে যাচ্ছে। এমন সময়ে আমাদের এমন নির্দেশনার প্রয়োজন যা আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেখাতে পারে। প্রতিদিন ভক্তরা তাদের সমস্যার সমাধান পেতে বৃন্দাবনের বিখ্যাত ধর্মীয় গুরু প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে যান। মহারাজ জি তাঁর কাছে আসা লোকদের সমস্যার সমাধান বলেন এবং তাদের সঠিক পথে চলতে অনুপ্রাণিত করেন। এমনকি সেলিব্রিটিরাও তাকে দেখতে বৃন্দাবনে আসেন। মহারাজজি ভক্তদের সমস্যা শোনেন এবং তাঁর উপদেশের মাধ্যমে তাদের সমাধান দেন। মহারাজ তাঁর এক ধর্মোপদেশে বলেছেন যে জীবনে যখন খারাপ সময় যাচ্ছে তখন কী করা উচিত। তাহলে আমাদের জানান।
ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখো
প্রেমানন্দ মহারাজের মতে, যখন জীবনে অন্ধকার বিরাজ করে এবং আমরা কোনও উপায় দেখতে পাই না, তখন আমাদের মনে রাখা উচিত যে ঈশ্বর আমাদের সাথে আছেন। তিনি বলেন যে, এমন সময়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় রাখা উচিত এবং বিশ্বাস করা উচিত যে ঈশ্বরের কৃপায় আমরা যেকোনো অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে পারব।
প্রার্থনা
মহারাজ বিশ্বাস করেন যে যখনই জীবনে কঠিন সময় আসে, তখনই আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত। তিনি বলেন যে ঈশ্বর ছাড়া আমাদের সমস্যা কেউ সমাধান করতে পারে না। এই সময়ে, আমরা যদি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তাহলে আমাদের মন শান্তি পায় এবং আমরা সঠিক পথ দেখতে পাই।
সত্যিকারের শান্তি
প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন যে আমাদের সুখ-দুঃখ, সমালোচনা ও প্রশংসার মতো আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের জীবনে শান্তির সন্ধান করা উচিত। ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে আরও বলেছিলেন যে, এই সমস্ত আবেগ থেকে দূরে থাকার মাধ্যমেই প্রকৃত শান্তি অর্জন করা সম্ভব। যখন আমরা এইসব বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠি, তখন আমাদের ভেতরে প্রকৃত শান্তি আসে।
ঈশ্বরের নাম নাও
মহারাজের মতে, জীবনের কঠিন সময়ে, আমাদের সত্যিকারের হৃদয়ে ঈশ্বরের নাম জপ করা উচিত। তিনি বলেন যে ঈশ্বরের নাম গ্রহণের মাধ্যমে আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী হই এবং আমাদের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়। এটি আমাদের দুঃখ কাটিয়ে ওঠার শক্তি দেয়।
তোমাকে পথ হেঁটে যেতে হবে।
প্রেমানন্দ মহারাজ আরও বলেন যে গুরু আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারেন, কিন্তু আমাদের নিজেদেরকেই সেই পথে হাঁটতে হবে। অন্য কারো সাহায্যে সমস্যার সমাধান হয় না, আমাদের নিজেদের যাত্রা নিজেরাই ঠিক করতে হয়। অন্যদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিলেই আমাদের দুঃখ দূর হবে, এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment