ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে উত্তেজনা এখন অনেক বেড়ে গেছে। মার্কিন প্রশাসনের পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশ সর্বদা অর্থনৈতিক, গোয়েন্দা এবং সামরিক সহায়তা পেয়েছে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি বদল
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশকে শত শত মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও, ট্রাম্প তার সরকারের তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের বিষয়বস্তু দেখাশোনার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে এ দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে।
হাজার হাজার মানুষের চাকরি ঝুঁকির মুখে
এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছে। বৈদেশিক সাহায্য হ্রাসের কারণে সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থান, ব্যবসা এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধার সংকট আরও গভীর হয়েছে। এখন মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং দেশে অস্থিরতা বাড়ছে। ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে মার্কিন আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি এই তহবিলের উপর নির্ভরশীল ছিল। ইউএসএআইডি তার সকল সংস্থাকে অবিলম্বে কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মরত হাজার হাজার কর্মীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ ছাঁটাইয়ের ভয় পেতে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, সুশাসন এবং গণতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) প্রতি বছর বাংলাদেশকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করত। ২০২৩ সালে, আমেরিকা বাংলাদেশকে ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং দ্বিতীয়বারের মতো ৫৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, ইউএসএআইডি ঘোষণা করে যে তারা আবারও বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করবে।
No comments:
Post a Comment