প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভে, ভক্তরা সঙ্গমে পবিত্র স্নান করছেন, এবং এরই মধ্যে, অনেক সাধু এবং সাধ্বীদের উপস্থিতির মধ্যে হর্ষা রিচারিয়া সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। হর্ষের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি রথে বসে মহাকুম্ভে প্রবেশ করছেন। তার জটানো চুল, কপালে চন্দনের প্রলেপ, কুমকুম তিলক এবং হলুদ পোশাকে তার উপস্থিতি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এই ভাইরাল স্টাইলের কারণে তিনি মহাকুম্ভের সুন্দরী সাধ্বী নামে পরিচিতি পান।
হর্ষা কি সত্যিই একজন সাধ্বী?
মহাকুম্ভে হর্ষার উপস্থিতি এবং তার মনোমুগ্ধকর স্টাইল এই প্রশ্ন তোলে যে তিনি আসলেই একজন সাধ্বী কিনা। হর্ষার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি স্পষ্ট করে দেয় যে তিনি একজন জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী এবং প্রভাবশালী। এছাড়াও, তিনি একজন উপস্থাপক এবং অভিনেত্রীও ছিলেন। হর্ষা বলেন যে তিনি নিরঞ্জনী আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি মহারাজের শিষ্যা, কিন্তু তিনি নিজেকে সাধ্বী বলে দাবি করেন না।
হর্ষা নিজেই সত্য কথা বলেছে
সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময়, হর্ষা স্পষ্ট করে বলেন যে তিনি ছোটবেলা থেকেই সাধ্বী ছিলেন না এবং বর্তমানেও সাধ্বী নন। তিনি বললেন, আমি এই পথে এগিয়ে যাচ্ছি, এবং যখনই আমার গুরুদেবের কাছ থেকে আদেশ পাব, আমি তা অনুসরণ করব। কাজের সাথে সাথে ভক্তিমূলক অনুভূতিও অব্যাহত রাখা যেতে পারে। হর্ষ আরও বলেছিলেন যে সৌন্দর্য এবং ভক্তির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই এবং তিনি সবকিছু ছেড়ে মহাকুম্ভে এসেছেন।
দীক্ষা এবং সাধ্বী হওয়ার প্রশ্ন
হর্ষা স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি অবশ্যই দীক্ষা নিয়েছেন, কিন্তু এখনও সন্ন্যাস গ্রহণের কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি নিজেকে সাধ্বী মনে করেন না, কিন্তু তার পোশাক দেখে মানুষ তাকে সাধ্বী ভাবতে শুরু করেছে।
হর্ষা রিচারিয়ার প্রোফাইল
হর্ষা রিচারিয়া মূলত মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা এবং বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে থাকেন। তিনি হলুদ পোশাক, রুদ্রাক্ষের মালা এবং কপালে তিলক পরেন। ইনস্টাগ্রামে তার ১০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং তিনি আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তু শেয়ার করেন।
No comments:
Post a Comment