চোখের নিচের কালো দাগ কেবল আপনার সৌন্দর্যই কমায় না, বরং আপনাকে ক্লান্ত ও অসুস্থও দেখায়। এগুলো বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যার মধ্যে আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসও অন্তর্ভুক্ত। আসুন জেনে নিই সেই ৭টি অভ্যাস সম্পর্কে যা ডার্ক সার্কেলের কারণ।
ঘুমের অভাব
ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে চোখের চারপাশের ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং রক্তনালীগুলো আরও দৃশ্যমান হয়।
কী করবেন- প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
- স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা টিভি থেকে আসা নীল আলো চোখকে ক্লান্ত করে তোলে এবং কালো দাগ তৈরি করে।
কী করবেন- ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে স্ক্রিনের দিকে তাকানো বন্ধ করুন। দিনের বেলায় যতটা সম্ভব কম স্মার্টফোন ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
জলের ঘাটতি
- শরীরে জলের অভাবের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং কালো দাগ দেখা দিতে শুরু করে।
কী করবেন- সারাদিন প্রচুর জল পান করুন।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল
- এই দুটি অভ্যাসই ত্বকের ক্ষতি করে এবং রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়, যার ফলে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়।
কী করবেন- সিগারেট এবং অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করুন।
মানসিক চাপ
- মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা ত্বকের ক্ষতি করে।
ভুল ত্বকের যত্ন
- চোখের চারপাশের ত্বক খুবই নাজুক। ভুল ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করা বা ত্বক ঘষার ফলে ডার্ক সার্কেল বাড়তে পারে।
কী করবেন: চোখের জন্য বিশেষভাবে তৈরি পণ্য ব্যবহার করুন এবং ত্বকে আলতো করে ঘষুন।
মেকআপ না তুললে
- ঘুমানোর সময় মেকআপ পরলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ডার্ক সার্কেলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কী করবেন- ঘুমানোর আগে সবসময় মেকআপ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
ডার্ক সার্কেল কমানোর অন্যান্য উপায়
ডায়েট – আয়রন, ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
কোল্ড কম্প্রেস - চোখে কোল্ড কম্প্রেস লাগালে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন?
যদি ঘরোয়া চিকিৎসায়ও ডার্ক সার্কেলের উন্নতি না হয় অথবা কোনও অসুস্থতার কারণে হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
No comments:
Post a Comment