হাতরসে সৎসঙ্গে পদদলিত, নিহত ১২২, আহত ১৫০
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ জুলাই : মঙ্গলবার (২ জুলাই) হাতরাস জেলার মুঘলগাড়ি গ্রামে ভোলে বাবার সৎসঙ্গ চলছিল। কর্মসূচি চলাকালে পদদলিত হয়ে বহু মানুষ মারা গেছেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ, যাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, দৈনিক ভাস্কর অনুসারে, হাতরস দুর্ঘটনায় প্রায় ১২২ জন মারা গেছে এবং ১৫০ জনেরও বেশি ভক্ত আহত হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
দৈনিক জাগরণ রিপোর্ট অনুযায়ী, হাতরসে পদদলিত হয়ে ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে, এবং অনেকে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই হাতরস ও ইতাহ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জনসত্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাতরস দুর্ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে, এবং অনেকে আহত হয়েছে। বলা হয়েছে হাতরসে পদদলিত হওয়ার কারণে মৃতের সংখ্যা ২৭ বলা হয়েছে, যখন ND টিভির মতে, মৃতের সংখ্যা ৮৭ বলা হয়েছে।
ইটাহ এসএসপি রাজেশ কুমার সিং বলেছেন, " হাতরস জেলার মুঘলগড়ী গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল, তখন একটি পদদলিত হয়।" এখনও পর্যন্ত ইটা হাসপাতালে ২৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২৩ জন মহিলা, ৩ শিশু এবং ১ জন আহত ব্যক্তি রয়েছে যারা হাসপাতালে পৌঁছায়নি। আরও তদন্ত করা হচ্ছে।" ইটা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মতে, হাতরসে পদদলিত হয়ে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও অনেকে আহত হয়েছে।
এদিন হাতরসের রতিভানপুর এলাকায় সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এসেছিলেন, তখন প্যান্ডেলে ভয়াবহ আর্দ্রতা ও গরমের কারণে পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে মথুরা, আগ্রা, ফিরোজাবাদ এবং ইটা থেকে লোকজন এসেছিলেন।
সাধু ভোলে বাবার উপদেশ শোনার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ হাতরাস ইটা সীমান্তের কাছে অবস্থিত রতিভানপুরে পৌঁছেছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে অনেক বিলম্ব হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের কাছের হাসপাতাল ও ইটা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ইটা সরকারি হাসপাতালে মাত্র ২৭টি মৃতদেহ পৌঁছেছে।
সিএমও ইটাহ, উমেশ কুমার ত্রিপাঠী বলেছেন, "এখন পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ পোস্টমর্টেম হাউসে এসেছে, যার মধ্যে ২৫ জন মহিলা এবং ২জন পুরুষ রয়েছে। অনেক আহতকেও ভর্তি করা হয়েছে। তদন্তের পরে আরও তথ্য জানা যাবে।"
No comments:
Post a Comment