জোর করে বিয়ে কী?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ জুন : সম্প্রতি বিহারের ভাগলপুর থেকে এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে মুরগি কিনতে যাওয়া এক সৈনিককে জোরপূর্বক বিয়ে করা হয়। এই ধরনের খবর প্রায়ই বিহার থেকে আসে। এমতাবস্থায় আপনার মনে একটা প্রশ্ন নিশ্চয়ই আসছে যে, এটা কি জোর করে বিয়ে? তো চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক-
ক্যাচ ম্যারেজ :
বিহারের ভাগলপুরে এক হোমগার্ড জওয়ান মুরগি কিনতে গেলে তাকে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১০০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ৪ ঘন্টা পরে লোকেরা জানতে পারে যে সে এখন বিবাহিত। হোমগার্ড জওয়ান সুমিত নাভগাছিয়া খুব কমই ভাবেন যে তিনি মুরগির বদলে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। এর আগে সুমিত মেয়েটিকে চিনত না তার পরিবারের সদস্যরাও। আসলে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সুমিত পাকদুয়া। যা বিহারের মানুষের কাছে ছোট-বড় উভয়ই।
বিহারের ছেলেদের মধ্যে জোর করে বিয়ের ভয় থাকে প্রায়ই। সরকারি চাকরিতে থাকা ছেলেদের বেশির ভাগই এই ভয়ে ভোগে। পাকদুয়া বিয়েতে ছেলের সম্মতি চাওয়া হয় না। ছেলেটি সরকারি চাকরি করছে বা চাকরি পেয়েছে জানতে পেরে অজ্ঞাত কয়েকজন তার কাছে এসে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ছেলেটি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তাকে ভয় দেখানোর জন্য মারধরও করা হয়। এর পর সে এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করে যাকে সে দেখেনি বা জানেও না। বিয়ের কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ছেলেটিকে তার বাড়িতে যেতে দেওয়া হয় এবং সেখানে পৌঁছে সে তার পরিবারকে বিয়ের কথা জানায়। এই ধরনের বিয়েকে ক্যাপটিভ ম্যারেজ বলা হয়।
কবে থেকে এমন বিয়ে প্রথায় এলো:
যদি রিপোর্টগুলি বিশ্বাস করা হয়, ১৯৭০ এবং ৮০ এর দশকে বিহারে এই ধরনের বিয়ে প্রচুর পরিমাণে পরিচালিত হয়েছিল। বিহারের এমন কিছু জেলা ছিল যেখানে ছেলেদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হত। এই বিয়ে প্রায়ই বিয়ের মরসুমে অনুষ্ঠিত হয়। বেশি যৌতুকের দাবি ও ভালো ছেলে না পাওয়ায় বিহারে এসব বিয়ে হয়েছে। এই ধরনের বিয়েতে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি করে ভালো ছেলে খোঁজে এবং তারপর তাকে যাচাই-বাছাই করে তাদের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় ছেলেটিও বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে তার ঘরে আটকে রাখে। এই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত প্রকাশ পেতে থাকে।
No comments:
Post a Comment