মহিষের দুধ পান করলে কি পাইলস নিরাময় হয়? - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Wednesday 26 June 2024

মহিষের দুধ পান করলে কি পাইলস নিরাময় হয়?



মহিষের দুধ পান করলে কি পাইলস নিরাময় হয়?  



ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৬ জুন : পাইলস যাকে হেমোরয়েডও বলা হয়।  এ রোগে মলদ্বার ও মলদ্বারের অংশ আক্রান্ত হয়।  সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে এ রোগ হয়।  এতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।  পাইলস দুই প্রকার। এ রোগে খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


 মল যাতে শক্ত না থাকে সেজন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।   কিছু পাইলসের রোগী দুধ পান করা নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকেন, আবার কেউ কেউ মনে করেন মহিষের দুধ পান করলে পাইলস সেরে যায়।  চলুন জেনে নেই কী সত্যি -


 মহিষের দুধের উপকারিতা:

 ১০০ মিলি মহিষের দুধে ২৩৭ ক্যালোরি, ১৭.৩% ক্যালসিয়াম, ৭.৮% প্রোটিন, ৪.৩% ভিটামিন এ থাকে।  এছাড়া পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়।  মহিষের দুধ পান করলে রক্তশূন্যতা দূর হয়, হাড় মজবুত হয় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।  এছাড়াও এটি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং ওজন কমাতে ও বাড়াতে সহায়ক।


 গরু হোক বা মহিষের দুধই পুষ্টিগুণে ভরপুর।  এটি খেলে শরীর সুস্থ থাকে।  দুধে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।  তবে কিছু মানুষ দুধ পানের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, যা পাইলস বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।  যাদের হজমশক্তি খারাপ, দুধ তাদের হজমের উপর চাপ দেয়।


 বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিষের দুধে গড়ে ৭% ফ্যাট থাকে যেখানে গরুর দুধে মাত্র ৩.৫% ফ্যাট পাওয়া যায়।  মহিষের দুধে ৯ শতাংশ এবং গরুর দুধে ৮.৫ শতাংশে সলিড নয় ফ্যাট পাওয়া যায়।  তাই মহিষের দুধ পান করলে বদহজম হতে পারে।


 বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায় এবং পাইলসের উপসর্গ বাড়ায়।  পাইলসের রোগীরা যাদের ওজন বেশি, তারা যদি মহিষের দুধ পান করেন, তাহলে তাদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাবে, যা মলদ্বারে চাপ দিতে পারে, এতে পাইলসের সমস্যা বাড়বে, তাই পাইলসের ক্ষেত্রে এই দুধ পান করা উচিত নয়।  তবে হজমশক্তি শক্তিশালী হলে চিকিৎসকের পরামর্শে দুধ খেতে পারেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad