এই ভুলগুলি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ মে : প্রত্যেক মহিলাই মা হতে চায়। এটিকে সবচেয়ে বিশেষ অনুভূতি এবং মুহূর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয় তবে কিছু ভুল এই অনুভূতি কেড়ে নিতে পারে। বর্তমানে আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে শিশুর গর্ভ নষ্ট হওয়ার অনেক ঘটনা সামনে আসছে, অর্থাৎ গর্ভপাতের ঝুঁকি (Miscarriage Mistakes) বাড়ছে। চিকিৎসকরাও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা সঠিক জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার কথা বলছেন। আপনিও যদি সন্তানের পরিকল্পনা করছেন বা মা হতে চান, তাহলে অবিলম্বে এই ৬টি অভ্যাস পরিবর্তন করুন, অন্যথায় গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে-
দেরীকরে শিশুর পরিকল্পনা:
চিকিৎসকদের মতে, বেশি বয়সে শিশুর পরিকল্পনা করলে জরায়ুতে কম ডিম বা খারাপ মানের ডিম তৈরি হয়। ৩০-৩৫ বছর বয়সের পরে শিশুর পরিকল্পনার কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল গর্ভধারণে অক্ষমতা বা গর্ভধারণে অসুবিধা। কোনোভাবে গর্ভধারণ করলেও গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। অতএব, ২৫-৩০ বছরের মধ্যে একটি সন্তান নেওয়ার কথা ভাবা উচিত। এ বয়সে ডিমের মান ভালো থাকে।
ধূমপান-মদ্যপানের অভ্যাস:
আধুনিক বিশ্বে, অনেক মহিলা ক্রমবর্ধমানভাবে অ্যালকোহল এবং ধূমপান গ্রহণ করছেন। যার কারণে তাদের ডিমের মান খারাপ হতে পারে। এই ধরনের মহিলারা কেবল গর্ভধারণেই অসুবিধার সম্মুখীন হন না, গর্ভপাতের ঝুঁকিও বেশি থাকে।
হাই হিল পরা:
হিল এবং গর্ভাবস্থার মধ্যে সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই, তবে অনেক ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থার প্রথম মাসগুলিতে, মহিলারা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং হিল পরার কারণে পড়ে যায়, যার কারণে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে। অতএব, গর্ভাবস্থার শুরুতে এটি এড়ানো উচিত।
হরমোনজনিত সমস্যা:
কিছু হরমোনজনিত সমস্যাও গর্ভপাতের জন্য দায়ী হতে পারে। গর্ভাবস্থাও এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। অতএব, যখনই আপনি গর্ভধারণের পরিকল্পনা করুন, প্রথমে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান এবং তারপরে এগিয়ে যান।
ডায়াবেটিস:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ডায়াবেটিসও গর্ভপাত ঘটাতে পারে, তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সময়মতো ডাক্তারের কাছে যান, তার দেওয়া ওষুধ খান, যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
বেশি ওষুধ খাওয়া:
অনেক ধরনের ওষুধ খাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে। কিছু মহিলা প্রয়োজন ছাড়াই ওষুধ খেতে থাকেন, এই ধরনের মহিলাদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শেই ওষুধ সেবন করুন।
No comments:
Post a Comment