আগুন নিয়ে খেলা, শত শত মানুষ নেয় অংশ
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২১ এপ্রিল : শ্রী দুর্গাপারমেশ্বরী মন্দির কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে অবস্থিত। মা দূর্গাকে উৎসর্গ করা এই মন্দিরটি খুবই বিশেষ বিবেচিত হয়। মানুষ একে কাতিল মন্দির নামেও চেনে। মন্দিরের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল প্রতি বছর জ্বলন্ত মশাল একে অপরের দিকে নিক্ষেপ করা হয়। এর কারণ একটি বিশেষ ঐতিহ্য। ম্যাঙ্গালোর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুর্গাপারমেশ্বরী মন্দিরটি তার 'অগ্নি কেলি' ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। আগুন নিয়ে খেলা এই খেলায় শত শত মানুষ অংশ নেয়।
অগ্নি কেলির ঐতিহ্য এপ্রিল মাসে আট দিন ধরে চলে। এতে একে অপরের দিকে জ্বলন্ত মশাল নিক্ষেপ করা হয়। দূর থেকে দেখলে মনে হয় 'মহাযুদ্ধ' চলছে। অন্ধকার রাতে যখন বাতাসে টর্চ উড়তে দেখা যায়, তখন মনে হয় যেন একটা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঐতিহ্যের সময় কেউ আহত হলে, তার ক্ষত অবিলম্বে পবিত্র জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এই পুরো লড়াই ১৫ মিনিট ধরে চলে।
একই সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে শ্রী দুর্গাপারমেশ্বরী মন্দিরে আবারো অগ্নি কেলির আয়োজন করা হয়। এতে লোকজনকে জাফরান কাপড়ে মোড়ানো এবং হাতে জ্বলন্ত মশাল নিয়ে মন্দিরের দিকে যেতে দেখা গেছে। মশালবাহী যুদ্ধ দেখতে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, উভয় পক্ষের দুটি গ্রুপ উপস্থিত রয়েছে, যারা একে অপরের দিকে জ্বলন্ত মশাল নিক্ষেপ করছে। এসময় লোকজন তাদের ক্যামেরায় এ ঘটনা রেকর্ডও করে।
আতুর ও কালাত্তর নামের দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে আগুন লেগেছে। লোকেরা নারকেলের ছাল দিয়ে তৈরি টর্চ নিয়ে আসে এবং তারপরে ১৫ মিনিটের জন্য একে অপরের দিকে ছুঁড়তে থাকে। একে অপরের দিকে মাত্র ৫ বার মশাল নিক্ষেপ করার নিয়ম আছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, অগ্নি কেলি দুঃখ কমায়। মেষ সংক্রান্তির আগের দিন থেকে অগ্নি কেলি শুরু হয় এবং মন্দিরে মানুষের ভিড় জমে যায়।
No comments:
Post a Comment