এখন এভাবে বিলুপ্তপ্রায় গাছপালা সংরক্ষণ করা হবে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ এপ্রিল ::এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে একটি টিস্যু কালচার ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় গাছপালাকে ক্লোন করার জন্য এখন বিলুপ্তপ্রায় গাছপালাকে ক্লোন বানিয়ে বাঁচানো হবে, এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে একটি টিস্যু কালচার ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে-
সময়ের সাথে সাথে অনেক প্রাণী ও গাছপালা বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং এখনও অনেক গাছপালা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। রাজধানী দিল্লিতেও এখন একই ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আসলে দিল্লির স্থানীয় গাছপালা বাঁচাতে আসালা ভাটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে টিস্যু কালচার ল্যাব তৈরি করতে চলেছে বন দফতর। এর লক্ষ্য উদ্ভিদ প্রজাতি এবং পরিবেশ রক্ষা করা।
খবর অনুযায়ী, বন বিভাগের আধিকারিক বলেছেন যে বিলায়তি কিকরের প্রাচুর্যের কারণে কিছু উদ্ভিদ প্রজাতিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, বহিরাগত কিকরের কারণে এই প্রজাতির বিকাশ ঘটছে না। এ ধরনের প্রজাতির একটি তালিকাও তৈরি করেছে বিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে হিংগোট, খয়ের, বিস্তেন্দু, সিরিস, পলাশ, চামরোদ, দুধ, ধাউ, দেশি বাবুল এবং কুলু ইত্যাদি।
বন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, এই ল্যাব নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দরদাতা না এলে সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগকে এই ল্যাব তৈরি করতে বলা হবে। ল্যাবটিতে উদ্ভিদবিদ এবং বনকর্মীর প্রয়োজন হবে। বিভাগটি দেরাদুনের ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের উদ্ভিদবিদ এবং বিজ্ঞানীদের সহায়তা পাবে।
ল্যাব তৈরি হয়ে গেলে বড় গাছের প্ল্যান্ট টিস্যু থেকে অনেক গাছ তৈরি করা হবে। একই সময়ে, জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে খুব কম গাছপালা রেখেই এই প্রক্রিয়াটি করা উচিত। যেখানে বাস্তুশাস্ত্রবিদরা বলছেন যে টিস্যু থেকে গাছপালা তৈরি করা এক ধরনের ক্লোনিং। বন বিভাগ জানায়, গাছ লাগানোর আগে ক্লোনিং পর্যায়ে কোনো রোগ বা ভাইরাস নেই তা নিশ্চিত করা হবে। এই ল্যাবে সেসব প্রজাতি পুনরুজ্জীবিত করা হবে যা সহজে পাওয়া যায় না।
No comments:
Post a Comment