পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা, ধুন্ধুমার হলদওয়ানিতে - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Friday 9 February 2024

পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা, ধুন্ধুমার হলদওয়ানিতে

 


পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা, ধুন্ধুমার হলদওয়ানিতে 



ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ ফেব্রুয়ারী : বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি,) উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার হলদওয়ানিতে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তার কারণে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।  অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, গুলি ও পাথর নিক্ষেপে চারজন নিহত এবং শতাধিক গুরুতর আহত হয়।  বেআইনিভাবে নির্মিত মসজিদ ও মাদ্রাসা সরাতে মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের দল পৌঁছলে তাদের ওপর পাথর ছুড়ে মারা হয়।  শুধু তাই নয়, পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয় এবং গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।


 পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন পুরো শহরে কার্ফু জারি করে এবং দাঙ্গাবাজদের দেখলেই গুলি করার নির্দেশ জারি করে।  শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন ছিল।  এ সময় সেখানে শান্তি থাকলেও যখন এ ঘটনা ঘটে তখন পরিস্থিতি ছিল খুবই ভয়াবহ।  পুলিশ সদস্যরা অনেক কষ্টে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।  সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময়ও তাকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল ছোড়া হয়। 


 একজন আহত মহিলা পুলিশকর্মী তার নিজের চোখে দেখা পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন।  একটি চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে ওই মহিলা পুলিশকর্মী বলেন, আমরা অনেকটাই পালিয়ে এসেছি।  তিনি বলেন, 'পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটলে আমরা একটি বাড়িতে প্রবেশ করি।  বাড়িতে অন্তত ১৫-২০ জন লোক ঢুকেছিল।  জনতা আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে, পাথর ছুঁড়েছে, সব করেছে।  অনেকদিন পর আমাদের পুলিশ বাহিনী এল।  তারপর অনেক কষ্টে বেরিয়ে এলাম।  চারদিক থেকে যে পাথর পড়েছিল।  অনেক কষ্টে বেরিয়ে এলাম।  অবস্থা খুব খারাপ ছিল।


মহিলা পুলিশকর্মী আরও বলেন, 'রাস্তায়, সব জায়গায় পাথর ছোঁড়া হয়েছে।  তারা রাস্তা ঘেরাও করেছিল এমনকি ছাদ থেকেও আসছিল।  আমরা, ১৫-২০ জন, একটি বাড়ির ভিতরে ছিলাম।  আমরা ফোন করে লোকেশন পাঠিয়ে দিলাম।  যে লোকটি আমাদের বাঁচিয়েছিল তাকেও গালিগালাজ করা হয়।  তাদের ঘরের দরজা-জানালা ভাঙা হয়।  এরপর লোকেশন পাঠানো হলে ফোর্স আসে।  এরপর তারা আমাদের বের করে দেয়।  আমরা পালানোর পর যখন বেরিয়ে আসছিলাম, তখন উপর থেকে গ্লাস, বোতল, ইট ইত্যাদি ছুড়ে মারা হয়।  পথে জ্যাম লেগেছিল এবং আমরা অনেক কষ্টে নামি।  আমি দূরে যেতে পারব না।'


 নৈনিতালের ডিএম বন্দনা সিং বলেন, হাইকোর্ট বনভুলপুরা এলাকায় নির্মিত মাদ্রাসা ও মসজিদ সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।  এই জমিতে কারো মালিকানা নেই বা মাদ্রাসা ও মসজিদকে ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে লিপিবদ্ধ করার কোনো রেকর্ড নেই।  তিনি বলেন, এই জমিকে মানুষ মালিকের বাগান বলে, কিন্তু সরকারি দলিল নেই।  বন্দনা সিং বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে শহরের বিভিন্ন স্থানে দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারী, এখানে নির্মিত দুটি ভবনে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, যাকে কেউ কেউ মাদ্রাসা এবং মসজিদ বলে, তাদের খালি করতে বলে, সেগুলি সরানো হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad