কেন এমন ধরণের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে জাপান?
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৪ ফেব্রুয়ারী : প্রযুক্তির দিক থেকে অন্য দেশগুলোকে জাপানের তুলনায় বেশ হালকা দেখায়। ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রযুক্তিতে প্রথম স্থানে রয়েছে জাপান। তাই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন, চতুর্থ স্থানে রয়েছে আমেরিকা। যেখানে ভারত এবং অন্যান্য দেশে ৫G নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে কাজ করছে না। তাই জাপানে ৬G চলছে। সম্প্রতি জাপান থেকে আরেকটি খবর এসেছে যে, জাপান এখন একটি কাঠের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে যাচ্ছে। মহাকাশ বিজ্ঞানে এর আগে এমনটি ঘটেনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই পদক্ষেপ নিল জাপান-
কাঠের স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে জাপান:
জাপানের মহাকাশ সংস্থা JAXA জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি নামেও পরিচিত। সম্প্রতি তিনি একটি কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করেছেন। এই কাঠের স্যাটেলাইটটি কিয়োটো ইউনিভার্সিটি এবং লগিং কোম্পানি সুমিতোমো ফরেস্ট্রির গবেষকরা যৌথভাবে তৈরি করেছেন। এই স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে লিগ্রোস্যাট। স্যাটেলাইট তৈরির আগে যে কাঠ থেকে তৈরি হয়েছিল। যে কাঠ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়।
মহাকাশের পরিবেশে কাঠ টিকে থাকতে পারবে কি না তাও নিশ্চিত করা হয়েছিল। তখনই এই স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শুরু হয়। এই স্যাটেলাইটটি ম্যাগনোলিয়া কাঠ দিয়ে তৈরি। জাপানের মহাকাশ সংস্থা JAXA আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায় মার্চ মাসে এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করবে।
এই কারণে কাঠের তৈরি:
সাধারণত স্যাটেলাইট ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। ধাতুর তৈরি স্যাটেলাইট যখন মহাকাশে বিধ্বস্ত হয়। তারপর তাদের অ্যালুমিনিয়াম কণা উপরের বায়ুমণ্ডলে থেকে যায়। যার কারণে তখন পৃথিবীর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে যে ওজোন স্তর ধাতব উপগ্রহ থেকেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ কারণে কাঠের স্যাটেলাইটও তৈরি করা হয়েছে। কাঠ বায়োডিগ্রেডেবল। অর্থাৎ এমন জিনিস যা প্রকৃতিতে মিশে প্রাকৃতিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরিবেশকে দূষিত করবে না।
No comments:
Post a Comment