সন্তান যাতে প্রতিবন্ধী হয়ে না জন্মায় সে জন্য গর্ভাবস্থায় কী করতে হবে?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারি : সারা বিশ্বে অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মায়। এমন শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ যারা জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে মারা যায়। এ ছাড়া ১ মাস থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার প্রতিবন্ধী শিশু বেঁচে থাকে। অক্ষমতা অনেক কারণে ঘটতে পারে - কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কিন্তু কিছু আছে যা আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। কিন্তু কিছু বিষয় মাথায় রাখলে শিশুর প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা কমানো যায়। আসুন জেনে নেই কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
পুষ্টিকর খাবার:
গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্যই একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ডাল, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, অঙ্কুরিত শস্য, বাদাম এবং বীজ, দুধ এবং দই। এই সবগুলি আপনার শরীরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে। যা শিশুর সঠিক বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
অবশ্যই এই পরীক্ষা সম্পন্ন করা:
গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ডাবল মার্কার টেস্ট এবং ট্রিপল মার্কার টেস্ট হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।এই পরীক্ষাগুলি ভ্রূণের কোন জেনেটিক অস্বাভাবিকতা বা ব্যাধি সনাক্ত করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থার ১১ তম এবং ১৩ তম সপ্তাহের মধ্যে ডাবল মার্কার পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাটি ডাউন সিনড্রোমের মতো জেনেটিক রোগ শনাক্ত করতে সহায়ক। ট্রিপল মার্কার পরীক্ষাটি ১৬ তম থেকে ১৮ তম সপ্তাহের মধ্যে করা হয় এবং এটি ডাউন সিনড্রোম সহ অন্যান্য জেনেটিক ব্যাধি সনাক্ত করতে সহায়ক প্রমাণিত হয়। এর মাধ্যমে অনাগত শিশুর যেকোনো ধরনের অক্ষমতা শনাক্ত করা যাবে।
পরিপূরক গ্রহণ করতে ভুলবেন না:
গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট এবং ভিটামিন ইত্যাদি। ফলিক অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের বিকাশে সাহায্য করে। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শিশু এবং মায়ের হাড়ের জন্য অপরিহার্য। মা ও শিশুর সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিনও গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment