কাশীর মার্কন্ডেয় মহাদেব মন্দিরের অজানা কথা
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১০ জানুয়ারি : কাশী হল সেই শহর যার প্রতিটি কণায় ভগবান শিব বাস করেন। ভগবান শিবের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাস রয়েছে, তাই কাশীকে মানুষের বিশ্বাসের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মার্কন্ডেয় মহাদেব কাশী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যার জন্য মানুষের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ভগবান শিবের এই পবিত্র এবং অলৌকিক বাসস্থান সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি রয়েছে।
কথিত আছে যে ঋষি মার্কন্ডেয় যখন যুবক ছিলেন, তখন জ্যোতিষীরা তাঁর পিতা ঋষি মৃকন্দকে বলেছিলেন যে তাঁর ছেলের আয়ু কম এবং তিনি মাত্র ১৪ বছর বেঁচে থাকবেন। এই কথা শুনে মার্কন্ডেয় মহাদেবের পিতামাতারা শোকে নিমজ্জিত হলেন এবং জ্ঞানীদের পরামর্শে তারা শিবের পূজা শুরু করলেন।
গল্পটি প্রচলিত যে, শিশু মার্কন্ডেয় যখন ১৪ বছর পূর্ণ করেন, যমরাজ তাকে নিতে আসেন, সেই সময় মার্কণ্ডেয় মহাদেবও শিবের পূজায় মগ্ন ছিলেন। যমরাজ শিশুর প্রাণ নিতে এগিয়ে যেতেই ভগবান শিব আবির্ভূত হলেন। ভগবান শিব বললেন, আমার এই ভক্ত অমর থাকবেন, তখন যমরাজকে ফিরতে হয়। সেই থেকে মার্কন্ডেয় মহাদেব এবং ভগবান শিব একই স্থানে পূজা করা শুরু করেন।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিব এখানে আসা ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন তাদের মনোবাসনা পূরণ করতে। গাজীপুর মহাসড়কের কাইথি গ্রামের কাছে এই মন্দিরটি অবস্থিত। এই মন্দিরটি অন্যতম প্রধান ধর্মীয় স্থান।
শিবরাত্রির দিন, মার্কণ্ডেয় মহাদেব মন্দিরে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের চেয়ে বেশি ভিড় হয়, শিবরাত্রি এবং এর বিভিন্ন দিন পর্যন্ত এখানে অবিরাম জল বাড়তে থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শিবরাত্রি এবং পরের দিন শ্রী রাম লেখা বেলপত্র নিবেদন করলে একজন পুত্র লাভ করেন।
মার্কণ্ডেয় মহাদেব মন্দিরেও ত্রয়োদশীকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুত্র সন্তান লাভ ও স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ভক্তরা এখানে দর্শনে আসেন।
No comments:
Post a Comment